মহানগর ডেস্ক : প্রচারে পুলিশ তাঁকে বাধা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ভাবানীপুরের হরিশ মুখার্জি রোডে প্রচারে বেরিয়ে দক্ষিণ কলকাতার সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম পুলিশি বাধার মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেন। ১৪৪ ধারা জারি আছে হরিশ মুখার্জি রোডে। তাই তাকে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে পুলিশ প্রচার করতে দেয়নি বলে সায়রা অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “এই জায়গাটা কি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত? কেন এখানে প্রচার করতে দেওয়া হবে না? কেন এখানে ১৪৪ ধারা জারি আছে? এটা কি কাশ্মীর?”
পুলিশের তরফে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থীকে ১৪৪ ধারার যুক্তি দেখিয়ে পুলিশের তরফে বলা হয়, এত জনের জমায়েত এখানে করা যাবে না। এই কথা শোনার পরই কালীঘাট থানার পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন সায়রা শাহ হালিম এবং বাম কর্মী-সমর্থকেরা। পুলিশ অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে সায়রা শাহ হালিম বলেন, “পুলিশ ভয় পাচ্ছে। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করছিলাম। এটা কি কাশ্মীর? এটা বাংলা। কিসের জন্য এখানে ১৪৪ ধারা?” এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছেও অভিযোগ জানাবেন বলে জানান সায়রা। প্রসঙ্গত, যে এলাকায় সায়রাদের প্রচারে বাধা দেওয়া হয়েছে, সেই এলাকাতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন। তাই এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
এই প্রসঙ্গে পুলিশের তরফে জানান হয়, নির্বাচন ঘোষণার পর আদর্শ আচরণ বিধি কার্যকর হয়ে গেছে। এই অবস্থায় কোথায় কে, কখন প্রচার করবেন, সেটা পুলিশের পোর্টালে গিয়ে আবেদন করতে হয়। সায়রা শাহ হালিমকে যেখানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, সেখানে প্রচারের ওনার অনুমতি ছিল না। এদিন যে খানে সায়রা শাহ হালিমকে প্রচারে বাধা দেওয়া হয়েছে সেটা কলকাতা পুরসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড, এখানেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন। বাধা পেয়ে সিপিএম কর্মী সমর্থকরা বলেন, তাঁরা এর বিহিত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হবেন। এর আগেও এই রাস্তায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়েছিল। তারপর কলকাতা হাই কোর্টের অনুমতি নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি সংংগ্ন হরিশ মুখার্জি রোডে মিছিল হয়েছে।