মহানগর ডেস্ক: কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামীকাল বুধবার ভারতের প্রথম নদীর তলদেশে নির্মিত মেট্রো টানেলের উদ্বোধন করতে চলেছেন। হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো পরিষেবার সূচনা করবেন। সেই সঙ্গেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সূচনা করবেন। আন্ডারওয়াটার মেট্রোর উদ্বোধন নিয়ে মুখিয়ে রয়েছে কলকাতা, বাংলা সহ গোটা দেশই।
kolkata
মহানগর ডেস্ক : শহরের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু সংস্কারের কাজ শুরু হতে চলেছে। ফলে তীব্র যানজটের আশঙ্কায় ভুগছেন নিত্যযাত্রীরা। জানা যাচ্ছে, শিয়ালদহ এবং ঢাকুরিয়া সেতু মেরামতের কাজে হাত দিতে চলেছে কেএমডিএ। এই দুটি সেতু সংস্কারের জন্য প্রায় ৯৮ লক্ষ টাকা বাজেট ধরা হয়েছে প্রথম ধাপে। প্রথমে শুরু হবে শিয়ালদহ সেতু সংস্কারের কাজ। রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টে পর্যন্ত সংস্কারের কাজ হবে বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে। তবে,নিত্যযাত্রীদের কথা মাথায় রেখে সংস্কারের আগে শহরের যান চলাচলে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে লালবাজারের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ওই সেতুগুলি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থা কেএমডিএর কর্তারা।
প্রসঙ্গত, শহরে কেএমডিএ-র আওতায় যে ব্রিজ গুলো পড়ে তার হাল কেমন, তা জানতে সম্প্রতি করা হয়েছিল সেতুগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা। সেতুগুলির মধ্যে ঢাকুরিয়া, শিয়ালদহ সেতুর রিপোর্ট জমা পড়ে গিয়েছে। তবে বাঘাযতীন সেতু, বিজন সেতু, দুর্গাপুর সেতু, করুণাময়ী সেতু, চেতলা সেতু, আম্বেদকর সেতু এবং চিৎপুর ক্যানালের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এখনও জমা পড়েনি।
এবার নজরে শিয়ালদহ ও ঢাকুড়িয়া ব্রিজ।২টি সেতুর জন্য বেশ কিছু সুপারিশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা, যার ভিত্তিতে শুরু হতে চলেছে সংস্কারের কাজ। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শিয়ালদহ সেতুর পিলারের কিছু জায়গায় সমস্যা রয়েছে যা মেরামত করা প্রয়োজন। পরিবর্তন করতে হবে গার্ডারেরও। বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে, শিয়ালদহ সেতুর বর্তমান যা অবস্থা, তাতে ৭১ টনের বেশি মাল বহনের ক্ষমতা রয়েছে তার। তবে ওই সেতুতে ছোট গাড়ির বাড়তি চাপের জন্য পিলারে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ জন্যই পিলারের মেরামতি প্রয়োজন। শিয়ালদহ সেতু মেরামতের পর শুরু হবে ঢাকুরিয়া সেতু সংস্কারের কাজ। ওই সেতুর উপরের পিচের আস্তরণ তুলে নতুন করে পিচ করা হবে, সেতুর জয়েন্টের অংশের গার্ডারগুলিও বদল করা হবে।
বিধ্বংসী আগুনের কবলে কলকাতার জুটমিল, প্রায় ২ কোটির ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
মহানগর ডেস্ক: ফের জুট মিলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। সকাল সকাল বিধ্বংসী আগুন লাগলো কাদাপাড়া জুটমিলে। প্রচুর ক্ষয় ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে স্বস্তির খবর এটাই যে কেউ আহত বা নিহত হননি । আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
মঙ্গলবার, সকাল পৌনে আট’টা নাগাদ জুটমিলের ৩নম্বর গুদাম ঘর থেকে আগুন ছড়ায়। বেলেঘাটা ইএম বাইপাসের ধারে কাদাপাড়া এলাকায় এই জুটমিল অবস্থিত। জুটমিলের জন্য এখানে অনেকগুলি গুদামঘর রয়েছে, এই সবকটি গুদামেই কাঁচা পাট সহ পাটের বিভিন্ন জিনিসপত্র এখানে মজুত ছিল। আগুন লাগার পর আগুনের শিখা দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে যাওয়ার জেরে জুটমিলের একাংশ আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। জানা গিয়েছে প্রচুর পরিমাণে কাঁচা পাট মজুত ছিল যার জেরেই আরও দ্রুত গতিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে । আগুনের লাগার পর আগুনের শিখা এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে চারিপাশে যে, আগুনের শিখা নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে দমকল কর্মীদের। গোটা এলাকা ধোঁয়ায় আছন্ন হয়ে গিয়েছে । আগুন এতটাই ভয়ংকর আকার নিয়েছিল যে ওই আগুনের বেগ কে নিয়ন্ত্রণ করতে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনা স্থলে যায়। তবে, আহত বা নিহতের মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেই জানা যাচ্ছে।
জুটমিলের কর্তৃপক্ষের দাবি, আগুন লাগার জেরে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জুটমিলের শ্রমিকরা আতঙ্কের মধ্যে আছেন বলেই জানা গিয়েছে। সকালে এমন ভাবে আগুন লাগার কারণ কেউ বুঝে উঠতে পারছেননা। জুটমিলে আগুন কীভাবে লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয় কারও ছেই। মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট হয়েছিল, তার জেরে হয়ত এমন দুর্ঘটনার ঘটেছে। তবে কি কারণে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হবে বলেই জানানো হয়েছে।
মহানগর ডেস্ক : তৃণমূল কর্মীকে খুনের মামলায় আদালতে স্বস্তি আইএসএফ নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর। এখনই তাকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ তাঁকে আগাম জামিন দিয়েছে।
আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, এর আগে খুনের মামলায় নওশাদকে পুলিশ তলব করলে সাড়া দিয়েছেন বিধায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে আপাতত কোনও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা যাবে না। ফলে নির্বাচনী কাজে অংশ নিতে আর কোনো বাধা রইল না নওশাদ সিদ্দিকীর।
প্রসঙ্গত, গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ভাঙড়ে খুন হন রাজু নস্কর। বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ওঠে। নওশাদ সহ ৬৮ জনের বিরুদ্ধে কাশীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন ভাঙড়-২ ব্লকের হাটগাছা গ্রামের বাসিন্দা ঋত্বিক নস্কর। তিনি এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত। ঋত্বিক নস্কর ও রাজু নস্কর সম্পর্কে জামাই-শ্বশুরমশাই। ঋত্বিকের অভিযোগ, নওশাদ বাহিনীর হামলার মুখে পড়েন তাঁরা। তিনি পালিয়ে যেতে পারলেও তাঁর শ্বশুরকে পিটিয়ে মারা হয়। এই ঘটনায় নওশাদকে মূল অভিযুক্ত করে এফআইআর দায়ের করেন ঋত্বিক। এই অভিযোগের ভিত্তিতে নওশাদের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় মামলা দেওয়া হয়। মাঝে তাঁকে ভবানী ভবনে তলব করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করে সিআইডি। নওশাদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেন। শুক্রবার সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে।
মহানগর ডেস্কঃ সন্দেশখালি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান এখনো পলাতক। এই ঘটনা নিয়ে যখন সন্দেশখালি সহ গোটা রাজ্য তোলপাড় তখনই, শাহাজাহান মামলায় নতুন করে কোমর বেঁধে তদন্তে নামতে দেখা গেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরদের।আজ, শুক্রবার সকাল থেকেই শাহাজাহান-‘ঘনিষ্ট’ কিছু আমদানি-রফতানি সঙ্ক্রান্ত ব্যবসায়ীদের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি অফিসারেরা।এদিন কোলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ মোট ছটি জায়গায় তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা।
এদিন সকালে তল্লাশি চলাকালীন এলাকাবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় ইডি আধিকারিকদের। জানা যায়, তদন্ত করতে এসর,এদিন ভুল বাড়িতে ঢুকে পড়েন তাঁরা। কলকাতার বিজয়গড়ের এক এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যবসায়ীর বাড়িতে তদন্ত করতে আসার বদলে তাঁরা পৌছে যান এলাকার গোবিন্দ চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে।ইডি গোয়েন্দাদের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিল কেন্দ্রীয় সেনা বাহিনী।
এই ঘটনার পরেই ইডির স্ক্যানারে থাকা আসল ব্যক্তি, অরূপ সোমের বাড়িতে পৌঁছায় ইডির দল।10/87/3 বিজয়গড়, এই বাড়িতেই তল্লাশি চালায় গোয়েন্দারা। সুত্রের খবর রেলে চাকরি করতেন ওই ব্যক্তি। তারপরে শুরু করেন মাছের ব্যবসা। বর্তমানে তাঁর পেট্রল পাম্প,ও মাছের ব্যবসা দুইই আছে। সাহাজাহান মামলায় এই তদন্তে নেমেছে গোয়েন্দারা, এমনটাই জানা যায়। এইসমস্ত ব্যাবসায়ীদের মাধ্যমে বিভিন জায়গায় টাকা খাটানো হত বলেও খবর সূত্রের। সকাল থেকেই বাঁশদ্রোণী, হাওড়া, বিরাটি সহ ৬টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা।
এদিন, হাওড়ার হালদার পাড়ায় পার্থ প্রতিম সেনগুপ্তের বাড়িতেও হানা দেয় ইডি। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত ব্যবসায় ‘অনিয়ম’ নিয়ে তারা নতুন একটি ইসিআইআর দায়ের করে ইডি। তার ভিত্তিতেই শুরু হয় তদন্ত, এমনটাই জানা যায় ইডি সূত্রের।
মহানগর ডেস্ক: কলকাতায় প্রতি দিন বহু বাইরের মানুষ নানা কাজে ভিড় জমান। কেই কাজে আবার কেউ ঘুরতে আসেন। কিন্তু লোকসমাগম হলেও শহরে নেই পর্যাপ্ত পরিমাণে শৌচালয়। এই অভাবের কারণে বিশেষ করে মহিলারা সমস্যার সম্মুখীন হন। সেই দিকেই এবার বিশেষ নজর দিল কলকাতা পুরসভা। নিল কড়া পদক্ষেপ । শহরের মানুষ এবং প্রত্যেকদিন যারা বিভিন্ন জেলা থেকে আসে তাঁদের জন্য এবার শহর জুড়ে থাকবে ভ্রাম্যমাণ শৌচালয়।
দৈনন্দিন যারা অফিস-কাছারি, স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে নানা কাজের সূত্রে কলকাতায় আসেন তাঁদের জন্য ভাবছে কলকাতা পুরসভা। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের শৌচালয়ের সংখ্যা অনেক কম । তাই স্বাভাবিক ভাবেই মেয়েদের বেশ অসুবিধায় পড়তে হয়। এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে কলকাতা পুরসভা এবার ভ্রাম্যমাণ শৌচালয় চালু করল। পুরসভার এই সিদ্ধান্তে সমস্যা মিটে যাবে বলে মনে করছেন অনেকেই। আশা রাখা হচ্ছে এই পৃথক ব্যবস্থা মহিলাদের সমস্যার সমাধান করবে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, শহরের বাসিন্দা থেকে শুরু করে কর্মসূত্রে কলকাতায় আসা অনেক মহিলাই, পরসভার কন্ট্রোল রুমে ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে শৌচালয় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল। সরাসরি বেহালা, কাঁকুরগাছি গড়িয়াহাট থেকে টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে ফোন আসতে থাকে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে। ফোনে মহিলারা স্পষ্টত বলেন, “শহরের রাস্তায় শৌচালয়ের সংখ্যা কম। তার উপর দুর্গাপুজো, বড়দিনের মতো উৎসবে রাস্তায় বেরিয়ে বড্ড সমস্যায় পড়তে হয়। শহরের রাস্তায় নতুন করে শৌচালয় তৈরির মতো জায়গা না থাকলে বিদেশের মতো ভ্রাম্যমাণ শৌচালয় চালু করা হোক।” এদিন কথা শুনেই তড়িঘড়ি কড়া সিদ্ধান্ত নেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তারপরই লাগাতার ভ্রাম্যমাণ শৌচালয় চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, ২০২৪ সালের মধ্যেই ২৫টি ভ্রাম্যমাণ শৌচালয় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রকাশ্যে খবরটি আসামাত্রই খুশি হয়েছেন মহিলারা। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মেয়র পারিষদ (পরিবেশ) স্বপন সমাদ্দার বলেন, বহুদিন ধরেই মহিলাদের অনেকে ভ্রাম্যমাণ শৌচালয় চালুর দাবি জানাচ্ছিলেন। সেই দাবিকে সম্মান জানিয়ে একটি ভ্রাম্যমাণ শৌচালয় তৈরী হয় কলকাতা শহরে।নিউ মার্কেট, হাতিবাগান, গড়িয়াহাট- সহ নানা জনবসতি পুণ্য জায়গায় মানুষের ভিড় বেশি হয়। তার সঙ্গে তো অফিস-কাছারি, স্কুল-কলেজ ও শপিং তো রয়েছেই। এই ভিড় হওয়া আবহে ঘুরবে ভ্রাম্যমাণ শৌচালয়। মঙ্গলবার ইতিমধ্যে প্রথম মহড়া হিসাবে এমন একটি শৌচালয় তিলোত্তমায় পথে নামানো হয়েছে। ধীরে ধীরে এবার এই ধরনের শৌচালয়ের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
মহানগর ডেস্ক : গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত সন্দেশখালিতে ছিলেন ডিজি রাজীব কুমার । সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় তিনি টাইল দেন। সন্দেশখালির সাধারণ মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানকার পরিস্থিতি নিজেদের চোখে দেখেন ও নিজ কানে শোনেন ঠিক কি হয়েছে, কি ঘটনা ঘটেছে। সন্দেশখালি তে দাঁড়িয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার সাফ জানিয়েছেন‘যাঁরা আইন ভেঙেছেন তাঁরা গ্রেফতার হবেন ।” তারপরেই আজ বৃহস্পতিবার তিনি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার, কথা ছিল, সকাল ১০টার দিকে সাংবাদিক বৈঠক করবেন বলেছিলেন ডিজি রাজীব কুমার । ওই বৈঠকে তিনি বড় ঘোষণা করতে পারেন এমনটাই মনে হচ্ছিল। কিন্তু জরুরি কাজ পড়ে যাওয়ায় সেই বৈঠক বাতিল করে কলকাতায় চলে যান । গতকাল রাতের দিকে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার বিরাট বাহিনী সঙ্গে নিয়ে সন্দেশখালিতে হাজির হন। এসেই গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁদের ঘরে ঘরে যান তিনি । গ্রামবাসীদের প্রত্যেকের অভিযোগ, আর্তনাদ, দুঃখের- অত্যাচারের কথা শোনেন তিনি। সূত্রের খবর, গতকাল রাতে গ্রামবাসীদের অবস্থা পরিদর্শন করার পর, ডিজি স্থানীয় পুলিশদের বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন কাজের নির্দেশ দিয়েছেন । জানা গিয়েছে ডিজি মাঝরাতে পর্যন্ত বাইকে চড়ে বসে এলাকার বিভিন্ন প্রান্ত টাইল দেন, ঘুরে দেখেন সন্দেশখালির ওলিগলি থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলি । তারপর তিনি সন্দেশখালি থানার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কথা বলেন পুলিশ আধিকারিক থেকে শুরু করে, সিভিক পুলিশদের একাংশের সঙ্গে। চারিদিকে টাইল দেওয়ার পর সন্দেশখালির জেটি ঘাট লাগোয়া পি ডব্লিউ ডির গেস্ট হাউসে রাতের বেলা একটু বিশ্রাম নেন। বিশাল পুলিশ বাহিনীকে এলাকায় টহল দিতে দেখা যায় রাত থেকেই। সকাল হতেই, আবার বৃহস্পতিবার সকালে তিনি জলপথে বেশ কয়েকটি দ্বীপ ঘুরে দেখেন। নদী পথে সেতুলিয়া সর্দারপাড়ার দিকেও যেতে দেখা যায় তাঁকে। কথা বলেন পুলিশ, সিভিক পুলিশদের একাংশের সঙ্গেও। বৃহস্পতিবার সকালে লঞ্চে করে চারিদিক পরিদর্শন করার জন্য জলপথে বেরোনোর আগে রাজীব কুমার সংবাদমাধ্যমে জানান, “যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তাঁরা সবাই গ্রেফতার হবেন। যাঁরা আইন ভেঙেছেন,তাঁরা গ্রেফতার হবেন।”
রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আমি এসেছিলাম পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। কথা বলেছি। এলাকা ঘুরে দেখেছি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের যা অভিযোগ রয়েছে আমি আবেদন করছি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তা সে জমি সংক্রান্ত হতে পারে, নিপীড়ন সংক্রান্ত হতে পারে। আপনারা অভিযোগ জানান। যারা যারা আইন ভেঙেছেন তারা সকলে গ্রেফতার হবেই।” গতকাল অর্থাৎ ২১সে ফেব্রুয়ারি রাজীব কুমার বলেছিলেন, ‘আজকে আমি সব দেখে নিই, কালকে জানাব।” সেইমতো আজ রাজীব কুমার বলেন, ‘ফোর্স ও অফিসারদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলাম। মানুষের প্রতি যা কর্তব্য আছে তা পালন করব। যাদের যে যে সমস্যা আছে, আমরা সকলের ব্যবস্থা করব, যে যে আইন ভেঙেছে, তাদের প্রত্যেকের শাস্তি হবে।’
২ হাজার টাকার নোট বদল নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে তৃণমূল-কংগ্রেসের রক্তারক্তি, আহত ২
মহানগর ডেস্ক : ‘নির্লজ্জ’, ‘বেহায়া’ শব্দ দুটি সম্প্রতি ঝড় তুলেছে রাজনৈতিক মহলে। এক সংবাদ মাধ্যমের আলোচনামূলক অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচারে শব্দ দুটি প্রয়োগ করতে দেখা গিয়েছে শাসক দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। শুধু তাই নয়, যে কারণে বিতর্ক, তিনি প্রকাশ্যে শব্দ দুটি উচ্চারণ করেছেন আসানসোলের বিধায়ক তথা বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের উদ্দেশ্যে। বিজেপির অভিযোগ এমনই।
যদিও কুণালের দাবি, কোনো মহিলাকে অসম্মান করেননি তিনি। মূলত দলের সংস্কৃতিকে কটাক্ষ করেই এহেন আক্রমণ। কুণালের সঙ্গে রীতিমতো ওই অনুষ্ঠানে বাক-যুদ্ধ প্রবল হয়ে ওঠে অগ্নিমিত্রার। এমনকি দুজনের চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। একে অপরকে জবাব দিতে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক পর্যন্ত দুজনকে শান্ত করতে হিমশিম খান। আলোচনামূলক ওই অনুষ্ঠানে সন্দেশখালির মহিলাদের অপমানের অভিযোগ উঠেছে কুণাালের বিরুদ্ধে। অগ্নিমিত্রা পাল্টা জবাব দিতে গেলেই তীব্র আক্রমণ শানান কুণাল। তারপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল।
বুধবার ঘটনার প্রতিবাদে মানিকতলায় সুকিয়া স্ট্রিটে উত্তর কলকাতার বিজেপি নেতা সজল ঘোষ-তমোঘ্ন ঘোষের নেতৃত্বে বিক্ষেভ প্রদর্শনের পাশাপাশি, কুণালের কুশপুতুল পর্যন্ত দাহ করা হয়। এরপর কুণাল ঘোষের বাড়ির দিকে এগোতেই বিজেপি কর্মীদের আটকাতে পাল্টা পথে নামে তৃণমূলও। এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিয়ে বাড়ছে উত্তাপ। একের পর এক পোস্ট বিজেপি নেতা নেত্রী সহ স্বংয় কুণাল ঘোষের। বৃহস্পতিবার সকালেও সেই রেশ দেখা গেল কুণালের এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে। সন্দেশখালি নিয়ে মহিলাদের অপমান ও অগ্নিমিত্রার উদ্দেশ্যে যে কুকথা বলার অভিযোগ উঠেছে শাসক মুখপত্রের বিরুদ্ধে তা উড়িয়ে কুণাল তার পোস্টে লিখেছেন, ”যারা নারদা মামলায় শুভেন্দু অধিকারকে নিজেদের দলে নিয়ে, তার পেছনে ঘুরঘুর করে, অন্যদের দিকে নারদা নিয়ে আঙুল তোলে, তাদের নির্লজ্জ, বেহায়া আবারও বললাম। এর সঙ্গে পুরুষ মহিলা পৃথক করা, মহিলাদের অসম্মান, সন্দেশখালির কোনো সম্পর্ক নেই। শুভেন্দু যখন ভারতের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কুৎসিত কথা বলে যায়, তখন টিভি চ্যানেলের বিবেকতাড়না; সঞ্চালকের মুখে আপত্তি; টক শো দেখতে পাই না কেন????”একপ্রকার এই পোস্টের মাধ্যমে জবাব দিয়েছেন কুণাল।
নির্লজ্জ, বেহায়া।
যারা নারদা মামলায় CBI FIR named শুভেন্দু অধিকারকে নিজেদের দলে নিয়ে, তার পেছনে ঘুরঘুর করে, অন্যদের দিকে নারদা নিয়ে আঙুল তোলে, তাদের নির্লজ্জ, বেহায়া আবারও বললাম। এর সঙ্গে পুরুষ মহিলা পৃথক করা, মহিলাদের অসম্মান, সন্দেশখালির কোনো সম্পর্ক নেই।
শুভেন্দু যখন…
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) February 22, 2024
মহানগর ডেস্ক : আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের সকাল থেকেই অতি তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)। তবে, এবার দুর্নীতি মামলায় নয়, প্রতারণা মামলা নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন ইডির আধিকারিকরা। ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রতারণা মামলার তদন্তে বেনিয়াপুকুরে হানা দিয়েছে ইডি। মূল অভিযুক্ত কুণাল গুপ্ত গ্রেফতার হয়েছে ইতিমধ্যেই। মূল অভিযুক্ত সহ তার ঘনিষ্ঠদের একাধিক ঠিকানায় চলছে চিরুণি তল্লাশি।
কুণালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৫-এ ভুয়ো কল সেন্টার খুলে বিদেশি নাগরিকদের থেকে প্রায় ১ হাজার কোটি হাতিয়েছে।সিআইডি হেফাজতে থাকাকালীন কয়েকজন সহযোগীকে ফোন করে প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা করে বলেও দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
প্রসঙ্গত, শহরের বুকে যেন প্রতারণার ঘটনা দিন দিন কমার বদলে বেড়েই চলেছে। এর আগেও ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল শহরের নানা প্রান্ত থেকে। বেনিয়া পুকুরে সকাল থেকেই রয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। নতুন কোন তথ্য উঠে আসে এই মামলায় সেটাই এখন দেখার।