মহানগর ডেস্ক: বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেদু অধিকারী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সংসদীয় ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত ও সঙ্কুচিত।” পাশাপাশি শুভেন্দু বলেন, “আমরা ৮ তারিখ বাজেট অধিবেশনে যোগ দেবো। চাইবো মিথ্যা প্রতিশ্রুতি যাতে দেওয়া না হয়, কেন্দ্রের সমহারে ডিএ, ২০০০ টাকা লক্ষ্মীর ভান্ডার দেওয়ার কথা ঘোষণা হয়, জ্বালানীর উপর রাজ্য সরকার সেস না নেওয়ার কথা ঘোষণা করে। এর ব্যতিক্রম হলে প্রতিবাদ হবে, তাতে যা করার আমাদের বিরুদ্ধে শাসকদল করুক।”
শুভেন্দু এদিন বলেন, “এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কালো পোশাক পরে, ভূত সেজে মোদি চোর, শাহ চোর বলেন। ভেবেছিলেন আমাদের ২৯ নভেম্বর তারিখ ধর্মতলায় সভা তাই উনি একা গোল দিয়ে বেরিয়ে যাবেন। সেটা হয়নি। তারপর হেয়ারস্ট্রিট থানায় আমাদের নামে মামলা হয়। আমরা এখন আদালতের সুরক্ষায় আছি।” শুভেন্দু বলেন, “আমরা সিএজি রিপোর্টের উপর আলোচনা চেয়েঋিলাম। ওই রিপোর্টে ভুয়ো অ্যাকাউন্টের তথ্য দেওয়া আছে, আর্থিক তছরূপ ও কেন্দ্রকে উপেক্ষা করে তহবিল ব্যবহার সমেত সব ধরনের চুরি জোচ্চুরির অভিযোগ আছে, তাই জানতাম সিএজি রিপোর্ট পড়তে দেয়নি। চোর শুনলে মমতার ঘুম ছুটে যাচ্ছে। মমতা বলছেন আমরা চোর, ওরা ডাকাত। তাই চোর শুনলে মমতা বিচলিত হয়ে যাচ্ছেন। আমরা বিক্ষোভ করি ওয়াক আউট করিনি। অধ্যক্ষ বলেন ১৪৬ জনকে আমি সাসপেন্ড করছি না। যত ইচ্ছে চেচান। লোকসভায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান অধীর রঞ্জন চৌধুরী। আর অধ্যক্ষ প্রথমে মুকুল রায় তারপর কৃষ্ণকল্যাণীকে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করেছেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামীকাল মালদার ইংলিশবাজারে ছোট্ট বাচ্চা মেয়েকে নৃশংস খুনের প্রতিবাদে বিজেপি মহিলা বিধায়করা মুলতুবি প্রস্তাব দেবে।”
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের বিরোধীদলনেতা আরও বলেছেন, “৮ ফেব্রুয়ারি বিজেপি বাজেটে অংশ গ্টহণ করবে। আমরা আশা করব কেন্দ্রের হারে ডিএ হবে, ৫০০ টাকার লক্ষ্মীর ভান্ডার ২০০০ টাকা হবে, পেট্রল,ডিজেল,রান্নার গ্যাসে সেস নেবে না। আমরা আশা করব ওড়িশা, বিহারের মতো পার্টটাইম শিক্ষক,শিক্ষিকারা স্থায়ী হবেন, জমি আইন বদলে একটা শিল্পমুখী নীতি হবে, সিঙুরে নতুন শিল্প হবে। তবে যদি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় তাহলে যা হওয়ার হবে। আমাদের সাসপেন্ড করলে, ভাতা বন্ধ করলে,হেয়ারস্ট্রিট থানায় এফআইআর করলে করবে। ৯ তারিখ বাজেট বিতর্কে বিজেপি অংশ নেবে ১৬০ মিনিট। প্রথম বলবেন অশোক লাহিড়ী। আইএসএফ বিধায়ককে তাঁর অনুরোধ সাপেক্ষে আমরা ১০ মিনিট বলতে দেবো। ডিএজি রিপোর্ট নিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের হস্তক্ষেপ দাবি করব যাতে তিনি সিএজি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ক্যাবিনেটের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি আমরা পায়ে হেঁটে রাজ্যপালের কাছে গিয়ে এই দাবি জানাব।”