মহানগর ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মহিলাদের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যেমন কথা তেমন কাজ। রাজ্যের মহিলাদের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসে। রাজ্যের মহিকরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প সুবিধা ভোগ করছেন। তবে প্রথম প্রথম প্রকল্পের সুবিধা পেতে কোনও সমস্যা না হলেও সমস্যা বাড়ছে ধীরে ধীরে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রাপকরা বেশ কিছু সমস্যার শিকার হচ্ছেন। জীবিত মহিলা হয়ে যাচ্ছেন মৃত। আর অনেকেই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সেই কারনে। প্রকাশ্যে এসেছে এই ধরনের একাধিক ঘটনা। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে। মহিষাদলের ইটামগরা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনিয়ার বাসিন্দা আয়েশা বিবি দুই পুত্র ও স্বামীকে নিয়ে দিব্যি সংসার করছেন। কিন্তু সেই আয়েশাই এখন মৃত ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-র তালিকায়। এই গৃহবধূ পঞ্চায়েত থেকে বিডিও অফিস ছোটাছুটি করেও জীবিত হয়ে উঠতে পারেননি।এখনও তাঁকে মৃত দেখানো হচ্ছে সরকারি খাতায়। ফলে আয়েশা পড়েছেন বিপাকে।তিনি মৃত সরকারিভাবে। সেই কারণে তাঁর ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর সুবিধাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।এই গৃহবধূ গত ছ’মাস ধরে সেই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত।
এই প্রসঙ্গে আয়েশা বলেন, ‘ গত এপ্রিল মাস থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছি না। কয়েকমাস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে টাকা না আসায় সন্দেহ হয়। তখন পঞ্চায়েত অফিসে যোগাযোগ করি। প্রধান পরামর্শ দেন বিডিওর কাছে সমস্যার কথা জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করতে। বিডিওর কাছে অভিযোগ করেছি। দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।’