মহানগর ডেস্ক: “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার” বাংলায় সব থেকে বেশী জনপ্রিয় প্রকল্প। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় সবথেকে বেশি চর্চিত প্রকপ্লের মধ্যে এটাই ছিল শীর্ষে। শুধু রাজ্যে নয় গোটা দেশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকারের এই প্রকল্প নিয়ে আলোচনা কিছু কম হয়না। “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার”-কে দেখে একাধিক রাজ্যও মহিলাদের উন্নয়নে এই সুবিধা চালু করেছে। কিন্তু জানেন কি কোথা থেকে এসেছে “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার” -এর ভাবনা। সেটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার এগরায় সভা থেকেই বহু চর্চিত এই “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার” -এর ভাবনা কিভাবে এসেছে সেটাই জানিয়েছেন। বলেছেন, “অভিষেকের মা লতা আমার কাছে থাকে, ও আমার দেখাশোনা করে। ওঁর পরিচারিকা ২ হাজার টাকা চেয়েছিল। বলে ব্যাঙ্ক ৫০০-১০০০ টাকা দেবে না। আমি সেই সময় লতাকে বলি তোর তো জমানো আছে কিছু টাকা। ও বলে কোথায় জমানো লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে যে টুকু টাকা রাখতাম তাও নোটবন্দি কেড়ে নিল।” এখনেই শেষ নয় তৃণমূল সুপ্রিমো আরও বলেন, “তখমই আমি ভাবি কোনওভাবেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আমি কেড়ে নিতে দেব না। আগে অনেক মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা জমাতেন। খুব প্রয়োজন পড়লে সেটা খরচ করা হতো। আমার কাছেও একটা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার রয়েছে। প্রয়োজনে ওখানকার টাকা আমার কাজে লাগবে।” এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে মোদী সরকারকে যে খোঁচা দিয়েছেন তা স্পষ্ট বলেই জানাচ্ছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মমতার দেখে দিল্লি ও কর্ণাটকেও এই ধরনের মহিলাদের সহায়তায় প্রকল্প চালু করেছে আপ এবং কংগ্রেস সরকার। যেখানে ১০০০টাকা করে প্রতি মাসে মহিলাদের দেওয়া হয়। বাংলাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে ৫০০টাকা দিয়ে শুরু করেছিলেন। তবে সেটি এখন বাড়িয়ে ১০০০টাকা করে দিয়েছেন। উপজাতিদের ক্ষেত্রে এই অঙ্কটা ১২০০। “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার” নিয়ে আলোচনা হলেও সমালোচনা কিছু কম হয়নি। বাম এবং বিজেপি এই নিয়ে কটাক্ষও করেছেন। শুধু তাই নয় বাংলার বিরোধীদলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন বঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার” -এর টাকা তিনগুন করা হবে।