বিক্রম ব্যানার্জী: লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নজরে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন সিধু মুসেওয়ালা ও এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি। বর্তমানে তরুণ গ্যাংস্টারের নিশানায় থাকা বলিউড স্টার সলমান খানের জীবনও হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। একাধিক প্রাণনাশের হুমকির কারণে বাড়ানো হয়েছে সুপারস্টারের নিরাপত্তা। তবে সাম্প্রতিক এক তথ্য মারফত খবর সলমান খানের পর তরুণ গ্যাংস্টারের নজরে এবার বিহারের পূর্ণিয়ার নির্দল সাংসদ পাপ্পু যাদব। তাকেও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তরফে।
লরেন্সের নজর এখন পাপ্পু যাদবের দিকে
সূত্রের খবর, পূর্ণিয়ার নির্দল সাংসদ পাপ্পু যাদবকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছেন লরেন্স গোষ্ঠীর এক কর্মী। অভিযোগ, অডিও বার্তায় বিহারের নেতাকে অত্যন্ত অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছেন ওই ব্যক্তি। সেই সাথে, পাপ্পুকে প্রাণে মেরে ফেলার কারণ হিসেবে বাবা সিদ্দিকির সাথে তার ঘনিষ্ঠতার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও হুমকি পাওয়া মাত্রই পূর্ণিয়া রেঞ্জের ডিআইজি, এসপি এবং ডিজিপির কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন সাংসদ।
জানা গেছে, পাপ্পু যাদবকে ভিডিও কলে করে হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন আমান নামের এক ব্যক্তি। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ পোস্ট করে পাপ্পুকে প্রাণ নাশের হুমকি দেন আমান ঘনিষ্ঠ মায়াঙ্ক সিং। গত 26 অক্টোবর ফেসবুক হ্যান্ডেল থেকে করা পোস্টে মায়াঙ্ক লেখেন, ‘সম্প্রতি জানা গিয়েছে বিহারের পূর্ণিয়ার স্বতন্ত্র সাংসদ পাপ্পু যাদব ওরফে রাজেশ রঞ্জন লরেন্স ভাইয়ের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন। আমি তাকে পরিষ্কারভাবে বলছি নিজের সামর্থের মধ্যে থেকে চুপচাপ রাজনীতি করুন। ভুলভাল বক্তব্য দিয়ে টিআরপি উপার্জনের ফাঁদে পা দেবেন না। নইলে আমরা চুপ থাকতে পারব না।’
প্রসঙ্গত, মায়াঙ্ক সিং বর্তমানে মালয়েশিয়ায় বসে লরেন্সের বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্ম পরিচালনা করছেন। অন্যদিকে আমান সাহু ঝাড়খণ্ডের জেলে বন্দী। অভিযোগ, জেলে বসেই পাপ্পু যাদব কে ভিডিও করেছিলেন তিনি। তবে কল ধরেননি পূর্ণিয়া সাংসদ। বলা বাহুল্য, বেশ কিছুদিন আগে বাবা সিদ্দিকির বাড়িতে গিয়ে ছেলে জিশানের সাথে দেখা দেখা করে আসেন পাপ্পু যাদব। পরিবারের সদস্যদের দ্রুত বিচারের আশ্বাসও দেন তিনি। কাজেই মনে করা হচ্ছে, এনসিপি নেতার বাড়িতে যাওয়ার কারনেই পূর্ণিয়ার সাংসদ পাপ্পু যাদবকে মারার জন্য উঠ পড়ে লেগেছে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় পশ্চিমা অস্ত্রের হামলা হলে তার পরিণতি খুব কঠিন হতে চলেছে! হুঁশিয়ারি পুতিনের