মহানগর ডেস্ক: ইদানিংকালে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে কেন্দ্রের শাসকদলের নাম জড়িয়েছে। তারপরেই প্রশ্ন উঠছে, হচ্ছে টা কী? সূত্র অনুযায়ী, সম্প্রতি যে দু’জন মোস্ট ওয়ান্টেড লস্কর-ই-তৈবার সন্ত্রাসীকে (Terrorist) পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছে ভূস্বর্গের স্থানীয়রা, তাদের একজন ভারতীয় জনতা পার্টির আইটি সেলের দায়িত্বভার সামলাচ্ছিলেন। খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই কাশ্মীরের বিজেপি প্রধান রবিন্দর রায়না জানিয়েছেন, মোস্ট ওয়ান্টেড ওই সন্ত্রাসী বিজেপির (BJP) কোনও সদস্যের তালিকায় পরেন না।
এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলার সময় জম্মু ও কাশ্মীরের বিজেপি প্রধান বলেন, “সন্ত্রাসী তালিব হুসেন বিজেপির সক্রিয় সদস্য বা প্রাথমিক সদস্য নন। একটি সার্কুলার অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয় যে, শেখ বশির যিনি বিজেপি সংখ্যালঘু ফ্রন্টের সভাপতি তিনি ৯ মে তালিব হুসেনকে নিয়োগ করেছিলেন”। সেইসঙ্গে বিজেপি প্রতিনিধি বলেন, হুসেন নিজেই একটি চিঠি বিতরণ করেছিলেন এবং মের ১৮ তারিখ দল ছেড়েছিলেন। রবিন্দর রায়নার কথায়, কয়েক বছর আগে তালিব হুসেন তাঁর তিন সহকর্মীকে নিয়ে বিজেপির অফিসে একজন মিডিয়া ব্যক্তি হিসেবে আসতেন। অনেকবার আমার সাক্ষাৎকারও নিয়েছিলেন। নিজেকে ওই ব্যক্তি ‘নিউ সেহার ইন্ডিয়া’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলের রিপোর্টার বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। সাংবাদিক হিসেবে অনেকবারই বিজেপি অফিসে ছবি তুলেছেন।
আরও পড়ুন : কেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকেছিল হাফিজুল,তদন্তে গোয়েন্দারা
তাঁর বক্তব্য, আদতে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী সংগঠন ভূস্বর্গের বিজেপি প্রধানের কার্যালয়কে টার্গেট করেছিল। এই মুহূর্তে গোটা বিষয়ের তদন্ত চলছে, খুব শীঘ্রই সমস্তটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, রবিবার ভূস্বর্গের রিয়াসি জেলায় ২ লস্কর-ই-তৈবার সন্ত্রাসীকে স্থানীয়রা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তালিব হুসেনের সঙ্গে ফয়জল আহমেদ দার নামের আরও এক সন্ত্রাসী ধরা পড়ে। পুলিশ সূত্রে, সেনাবাহিনীর ভয়ে তারা টুকসন ধোক গ্রামে পৌঁছায়। বাসিন্দা হিসেবে তারা সেখানে থাকতে শুরু করে। তালিব হুসেন বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা এবং গ্রেনেড বিস্ফোরণ ছাড়াও রাজৌরি জেলায় হওয়া অন্তত তিনটি হামলায় জড়িত। তার পাকিস্তানের আরও এক সন্ত্রাসী কাসিমের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় ছিল। এদিন স্থানীয়রা পুলিশের হাতে দুই সন্ত্রাসীকে তুলে দিলে, তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। এরপরই রটে যায় দুই সন্ত্রাসীদের মধ্যে একজন বিজেপির সদস্য। যদিওবা কেন্দ্রের শাসক দল গোটা বিষয়টাকে নাকোচ করেছে।