মহানগর ডেস্ক : গুজরাটের গান্ধীনগর দেশের মধ্যে নিরাপদতম আসন। গান্ধীনগর থেকেই সাংসদ হন খোদ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অভিযোগ, এই গান্ধীনগর কেন্দ্রেও নাকি সুরাটে যেমন বিজেপি বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে ঠিক সেই কাণ্ডেরই পুনরাবৃত্তির চেষ্টা করছে বিজেপি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বিরোধী প্রার্থীদের।
গান্ধীনগরের লোকসভা কেন্দ্রে আগামী ৭ মে নির্বাচন। সেখানে একাধিক প্রার্থী দাবি করেছেন, তাঁদের উপরে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। এমনকী গুজরাট পুলিশের তরফেও চাপ দেওয়া হচ্ছে বিজেপি বিরোধী প্রার্থীদের উপর। গত দু’দিনে অন্তত তিনজন নির্দল এবং বিরোধী প্রার্থী দাবি করেছেন, তাঁদের প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিয়েছে বিজেপি। নির্দল প্রার্থী জিতেন্দ্র চৌহান, প্রজাতন্ত্র আধার পার্টির সুমিত্রা মৌর্য, নির্দল প্রার্থী জৈনেন্দ্র রাঠোর, প্রত্যেকেই অভিযোগ করেছেন তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দেওয়া হচ্ছে।
ইতিমধ্যে সুমিত্রা মৌর্য ছাড়া বাকি দুই নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহারও করেও নিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, আরও বেশ কয়েকজন নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা দশের বেশি। কংগ্রেস সূত্রের দাবি, অমিত শাহ এবার গান্ধীনগর থেকে পাঁচ লক্ষের বেশি ব্যবধানে জেতার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন। ছোটখাটো দল বা নির্দলরা ভোট কেটে সেই ব্যবধান যাতে কমিয়ে না দেন, সেই লক্ষ্যেই নির্দলদের চাপ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে শনিবার গুজরাটে গিয়ে এই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন খোদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তাঁর বক্তব্য, “অমিত শাহ কেন ছোটখাটো দল বা নির্দল প্রার্থীদের ভয় পাচ্ছেন? এত ভয় কীসের? আপনার সামনে যদি একশো জন প্রার্থীও থাকে, তাঁদের বিরুদ্ধে লড়ে জিতে দেখান। নির্বাচনে লড়তে এত ভয় কেন?”
এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।