মহানগর ডেস্ক : মঙ্গলবার ইডির দায়ের করা নতুন মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী এবং বহিস্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্র বুধবার তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ”বিজেপির দরজা খোলা, চলে এসো না হলে এবার, তিহার!” এই পোস্টটি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তাহলে কি মহুয়া নিজের গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন? এখানেই শেষ নয়। মহুয়া তাঁর মাকে বাঘিনী সম্বেধন করে তাঁর মায়ের একটি পোস্ট রিপোস্ট করেছেন মহুয়া, তাতে তাঁর মায়ের মহুয়ার উদ্দেশে লেখা, “তুমি আমার নামে একটা পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি নিয়ে রাখ। যদি ওরা তোমায় তুলে নেয়, তাহলে আমি তোমার মনোনয়ন জমা দেব।”
এই পোস্ট সামনে আসতেই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক অভিজ্ঞদের আশঙ্কা, এবার কী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মহুয়া মৈত্রকে গ্রেফতার করবে?”
অর্থিক দুর্নীতি ও হিসাব বহির্ভূত খরচের অভিযোগে মহুয়া মৈত্রকে ইডি তলব করেছিল কিন্তু সেই ডাকে সাড়া দেননি মহুয়া মৈত্র। তিনি সেদিন বলেন, “ইডি ইডির কাজ করুক, আমি আমার কাজ করব।” মঙ্গলবার কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে নতুন এক মামলা দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তারপরই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এমন ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করলেন মহুয়া।
কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর অভিযোগ, ভোটের আগে বিরোধী নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি ছাড়া কিছুই নয়। এইভাবে মামলার ভয় দেখিয়ে বিরোধী শিবির থেকে নেতাদের নিজেদের দলে টানার চেষ্টা করা হচ্ছে। কেউ বিজেপিতে যোগ দিলে তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলার গতি কমে যাবে। এমনই ইঙ্গিত দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কেউ সেই শর্তে রাজি না হলেই তাঁকে জেলে ঢোকানোর ভয় দেখাচ্ছে বিজেপি। মহুয়া বলেন, “আমরা যেমন সকালে উঠে ভগবানকে পুজো করি, ওরা একটা মামলা ফাইল করে। তৃণমূলের যেমন ছাত্র, যুব, মহিলা সংগঠন আছে এরাই বিজেপির গণসংগঠন।”
এর আগে গত সপ্তাহেই লোকপালের নির্দেশে সিবিআই মহুয়া মৈত্রর কলকাতার আলিপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল। ওই ঘটনার পর মহুয়া নির্বাচন কমিশনের কাছে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে তাঁকে হেনস্তার অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে ভোটের প্রচারে বাধা দানের চেষ্টা চলছে। তার মধ্যে প্রথম দফার ভোট শুরুর সপ্তাহ দুয়েক আগে ফের মহুয়ার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই মামলায় এবার কী মহুয়া গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন? এই সম্ভাবনা তাঁর এক্স হ্যান্ডেলের পোস্ট দেখে রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন।