মহানগর ডেস্ক : দূরত্ব যতোই থাকুক না কেন, বিপদের সময়ে মলদ্বীপের পাশে ভারত। ঠিক বড় ভাইয়ের মতো ঝগড়াঝাটি ভুলে মলদ্বীপের পাশে দাঁড়ালো ভারত। মলদ্বীপের অনুরোধে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সরবরাহের উপর থেকে যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিল ভারত।২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের শুরুতেই মলদ্বীপ সরকার ভারত সরকারের কাছে অত্যাবশকীয় পণ্যে রফতানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্য়াহারের অনুরোধ জানায়। ভারত সেই অনুরোধ মেনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল। ফলে এবার ভারত থেকে মলদ্বীপে চাল, ডিম, আলু, পেঁয়াজ, আটা, চিনি ও ডাল রফতানি করবে। শুক্রবারই মালে-তে ভারতের হাই কমিশনের তরফে এই কথা বিবৃতি জারি করে জানানো হয়।ডিজিএফটি-র তরফেও বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, নতুন অর্থবর্ষে মলদ্বীপে চাল, ডাল, ডিম, পেঁয়াজের মতো অত্য়াবশ্যকীয় পণ্য রফতানি করা হবে। এর পাশাপাশি নুড়ি পাথর ও বালিও রফতানি করা হবে। এবার সবথেকে বেশি পরিমাণে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য রফতানি করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, অত্যাবশকীয় পণ্য হিসেবে পেঁয়াজ রফতানি করা হবে ৩৫৭৪৯.১৩ টন।চাল রফতানি করা হবে ১২৪২১৮.৩৬ টন।আটা রফতানি করা হবে ১০৯১৬২.৯৬ টন।চিনি রফতানি করা হবে ৬৪৪৯৪.৩৪ টন। ডাল রফতানি করা হবে ২৪৪৯৪.৩৪ টন।নুড়ি পাথর ১০,০০০০০ টন রফতানি করা হবে। নদীর বালিও রফতানি করা হবে ১০,০০০০০ টন।
ভারত যে শুধু বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছে তা নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফরের পর থেকে শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে মলদ্বীপের পর্যটনেও।লাক্ষাদ্বীপের পর্যটন আধিকারিক ইমতিয়াজ মহম্মদ টিবি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লাক্ষাদ্বীপে আসার পরই এই দ্বীপ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে। প্রচুর মানুষ লাক্ষাদ্বীপ সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। শুধু দেশের মানুষরাই নন, বিদেশ থেকেও বহু মানুষ খোঁজ নিচ্ছেন লাক্ষাদ্বীপের পর্যটন নিয়ে। উল্লেখ্য, বিদেশের কোনও সমুদ্র সৈকতে না গিয়ে, দেশের অন্দরেই থাকা এত সুন্দর সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসার আহ্বান জানান নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই আহ্বানের প্রভাব কতটা জোরাল, তার প্রভাব বোঝা যাচ্ছে লাক্ষাদ্বীপের পর্যটনের গ্রাফ দেখেই।