মহানগর ডেস্ক: দিন কয়েক আগেই স্পেন ট্রিপ থেকে ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু তিনি নাকি সেখানে কোনও কাজে যান নি, গিয়েছিলেন ছুটি কাটাতে, ফুর্তি করতে! হ্যাঁ, এমনটাই দাবি করছেন বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, মমতার সাম্প্রতিক বিদেশ সফর ছুটি ছাড়া আর কিছুই নয়, তিনি রাজ্যে বিনিয়োগ আকর্ষণের অজুহাতে করদাতাদের অর্থের অপব্যবহার করছে। কারণ ভ্রমণের সময়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে হোটেলে ছিলেন তার খরচ ছিল দৈনিক ৩ লক্ষ টাকা।
উল্লেখ্য, রাজ্যের বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চলতি মাসের শুরুতেই প্রায় ১২ দিনের জন্যে স্পেন এবং দুবাই সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গত ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি কলকাতায় ফিরেছেন। বুধবার একটি সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ ভ্রমণকে ব্যাঙ্গ করে বলেছেন, “কখনও কখনও আপনাকে পরিবর্তনের জন্য বাইরে যেতে হবে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে এমন একটি হোটেলে থাকতে দেখেছি যেখানে তাঁর প্রতিদিন ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছিল। শুধু মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা নয়, অনেক প্রবর্তকও আমাদের রাজ্যের তহবিলের অপব্যবহার করছেন। বিনিয়োগ আনার নামে তিনি স্পেনে ঘোরাঘুরি এবং মজা করে ফিরে এসেছেন। বাংলার কোন শিল্প নেই, কাজ নেই, ব্যবসা নেই, বিনিয়োগ নেই, তা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ সফরে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে।” এরপর তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বাম হাঁটুর চোট নিয়ে উপহাস করে বলেন, “আমি ঈশ্বরের কাছে তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি, যাতে তিনি আবার মিথ্যা বলার সুযোগ না পান।”
জুন মাসে মুখ্যমন্ত্রীকে ১০ দিনের সম্পূর্ণ বিশ্রাম এবং সীমিত চলাচলের নির্দেশ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কারন তিনি একটি হেলিকপ্টার থেকে নামার সময় একই হাঁটুতে আঘাত পেয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ সফরে গিয়ে রাজ্য এবং স্প্যানিশ ফুটবল লীগ লা লিগার মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে এসেছেন। যাতে তরুণ প্রতিভাদের লালন-পালনের জন্য রাজ্যে একটি একাডেমি স্থাপন করা যায়। পরে দুবাইতে, মুখ্যমন্ত্রী বহুজাতিক সংস্থা লুলু ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন, যারা মাছ এবং মাংস প্রক্রিয়াকরণ, পোল্ট্রি এবং দুগ্ধ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের ডেঙ্গু পরিস্থিতির ভযাবহতা নিয়ে, চৌধুরী রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছেন। রাজ্য সরকারের নির্দেশে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর কারণ ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ করছেন না চিকিৎসকরা। সরকার সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করছে।