মহানগর ডেস্ক: আসন্ন জি-২০-২৩ এর সম্মেলন হতে চলেছে ভারতে। আর সেই লোগোয় সেজে উঠছে রাজধানী। তাজমহল, কুতুবমিনার সহ একাধিক স্মৃতি সৌধের মাথায় ঝলমলে আলোয় ঝলকানি দিচ্ছে তেরঙ্গার জি-২০ লোগো। কিন্তু সেই লোগোয় ব্যবহার করা হয়েছে পদ্মফুলের প্রতীক। যা নিয়ে মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন ভারতকে বিশ্বের দরবারে উপস্থাপন করতে একটি রাজৈতিক দলের লোগো ব্যাবহার না করে বাঘ ও ময়ূরের প্রতীক ব্যবহার হতে পারত। তবে একইসঙ্গে মমতা তীব্র বিরোধিতা করেননি বলে জানান, কারণ সেই বিষয়টির সঙ্গে বিদেশ-দেশের ভাবমূর্তি জড়িয়ে আছে।
জি-২০ গোষ্ঠীতে এবার ভারত সভাপতিত্ব করায় তার প্রস্তুতি বৈঠকে দেশের সব রাজনৈতিক দলের প্রধানদের ডাক পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিভিন্ন রাজ্যে এই সম্মেলনের অনুষ্ঠান হবে, তা নিয়েই অগ্রিম আলোচনা হবে সেই বৈঠকে। সে কারণেই সোমবার দিল্লি পারি দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর যাওয়ার আগেই কলকাতা বিমানবন্দরে ‘জি-২০’-র লোগোতে পদ্মফুলের প্রতীক রাখা নিয়ে এক সাংবাদিক মমতাকে প্রশ্ন করেন। সেই প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, ‘তিনি দেখেছেন, বিজেপি আগেও এটা ব্যবহার করেছে। আগেও জি-২০-তে করেছি। তবে এটি যেহেতু দেশ সংক্রান্ত বিষয়, তাই বিরোধিতা করা হয়নি। কারণ বাইরের দুনিয়ায় এই দ্বন্দ্বমূলক ভাবমূর্তি প্রকাশ পাওয়া ভালো হবে না। কিন্তু রাজনৈতিক দলের প্রতীক ব্যবহার ঠিক নয়। (পদ্মফুল কেন্দ্রীয় শাসক দল, বিজেপির প্রতীক। তবে দেশের কথা ভেবে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি করতে নারাজ। যদিও বাকিরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলছে। সাংবাদিক প্রশ্ন করায় স্রেফ এমনটাই মতামত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।’
যদিও জি-২০ সম্মেলনের লোগোর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী দাবি করেন, ১৯৫০ সালে স্বাধীন ভরতের কংগ্রেস সরকার পদ্মকে জাতীয় ফুল হিসেবে ঘোষণা করে। আর সেই জাতীয় ফুলকেই জি-২০ সম্মেলনের লোগোয় ব্যবহার করা হয়েছে।