মহানগর ডেস্ক : বৃহস্পতিবার বালুরঘাট ও রায়গঞ্জের জনসভা থেকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একযোগে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানালেন। পাশাপাশি রামনবমীর দিন মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে অশান্তির দায়ে বিজেপিকে অভিযুক্ত করলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রামনবমীর আগের দিন কেন মুর্শিদাবাদের ডিএসপিকে কেন সরিয়ে দেওয়া হল? এটা পূর্বপরিকল্পিত।রামনবমীতে অস্ত্র নিয়ে কেন ওরা মিছিল করল? ২ জন পুলিশ কর্মী আক্রান্ত হয়েছে। কেন ওরা দাঙ্গা করবে?”
মুখ্যমন্ত্রী কেন ওরা দাঙ্গা করবে বলে হুঙ্কার দিচ্ছেন, তখন বিজেপি, কংগ্রেস বলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি আগাম জানতেন দাঙ্গা হতে পারে, তাহলে তিনি তাঁর প্রশাসনকে দিয়ে দাঙ্গাবাজদের ধরেননি কেন? তিনি কি তাহলে দাঙ্গায় প্ররোচনা দিলেন?
মমতা এদিন তাঁর সভা থেকে মিঠুন চক্রকে গদ্দার বলে আক্রমণ করেন। মমতা মিঠুনের নাম করে বলেন, “আর একজনকে রাজ্যসভার সাংসদ করেছিলাম। সে আরএসএস-এর দরজায় গিয়ে মাথা ঠেকিয়েছে শুধু নিজের ছেলেকে বাঁচাবার জন্য। মনে আঋে বিয়ের পিড়িতে গিয়ে হাজির হয়েছিল? যারা জীবনযুদ্ধে বাঁচতে অন্যের পায়ে পড়ে যায় তাঁদের আমি মানুষ বলে মনে করি না।”
এদিকে মমতার এই “গদ্দার” বলে আক্রমণের জবাবে মিঠুন চক্রবর্তী বলেছেন, “আমায় গদ্দার, ফদ্দার, সর্দার যা ইচ্ছে বলুক। জবাব দেবেন মানুষ।”
সম্প্রতি রাজ্যে এসে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ৪ জুনের পর সব দুনীতিবাজদের জেলে ভরা হবে। অমিত শাহও বলেছেন, অপরাধীদের পা উপরে, মাথা নীচে করে ঝুলিয়ে রাখা হবে— মমতা মোদী,শাহর এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, <span;>মমতা বললেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর এত বড় সাহস! বলছে বেছে বেছে সবাইকে জেলে ভরবে! আরে বেছে বেছে জনতা তোমাকে ভোট দেবে না। হিম্মত থাকলে কাজ করে ভোট নাও। সাফল্য দেখিয়ে ভোট নাও। ১০ বছরে কী কাজ করেছো তার রেকর্ড দেখান। ’’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও নাম না করে মমতা বললেন, “ওরা বলছে, জনতাকে উল্টো ঝুলিয়ে সিধে করে দেবে? আরে জনতা তোমাদের সরকারটাই উল্টে দেবে।”
মমতা এদিন বলেন, ‘‘বিজেপি মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিয়ে চলে গেল। কী কাজ করেছে ওরা? টাকা বন্ধ করেছে। আর বিনা পয়সায় রেশন আমরা দিয়েছি। স্বাস্থ্যসাথী আমরা দিয়েছি। কন্যাশ্রী আমরা দিয়েছি। রূপশ্রী আমরা দিই। লক্ষ্মীর ভান্ডার আমরা দিই। চা-বাগানের পাট্টা আমরা দিই। তফসিলি ভাতা আমরা দিই। কাজ আমরা করেছি আর ভোটটা নিয়ে চলে গেল সু বাবু।’’
বাংলার সরকারের দুর্নীতি নিয়ে মোদী-শাহর কটাক্ষের জবাবে মমতা বলেন, ‘‘ওরা বলছে দুর্নীতি হয়েছে। প্রমাণ দাও। বার বার বলেছি, বাংলা, বিহার, উত্তরপ্রদেশ আর মহারাষ্ট্র— চার রাজ্যের দুর্নীতির তালিকা প্রকাশ করে দেখাও কোথায় কত দুর্নীতি হয়েছে, কত মহা দুর্নীতি হয়েছে। বাংলায় দুর্নীতি হয়নি। লোকালি কয়েক জন বদমায়েশি করেছিল, আমরা বাদ দিয়ে দিয়েছি।’’
তাহলে কি দুর্নীতি ইস্যুতে মমতা একটু বুঝে পা ফেলছেন? না হলে মমতাকে বলতে হচ্ছে কেন ” লোকালি কয়েক কন বদমায়েশি করেছিল, আমরা বাদ দিয়ে দিয়েছি।”