মহানগর ডেস্ক : “পিছন থেকে ধাক্কা”-না ” পিছন থেকে ধাক্কার অনুভূতি”, কোনটা বিষয়টি সঠিক শুক্রবার সকালে তার ব্যাখ্যা দিলেন এসএসকেএম-এর অধিকর্তা ডাঃ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ফের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হবে। মমতার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, এম কে স্ট্যালিন সহ অনেক রাষ্ট্রনেতা। মমতা সবাইকে তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর আঘাত সম্পর্কে এসএসকেএম-এর অধিকর্তা ডাঃ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন পিছন থেকে ধাক্কা লাগার ফলে তাঁর কপালে আঘাত লাগে ও রক্তপাত হয়।” এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জল্পনা শুরু হয় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। কে তাঁকে তাঁর বাড়িতে ধাক্কা মারল? ঘটনার সময় হাই সিকিওরিটি পাওয়া মুখ্যমন্ত্রী কি তাহলে নিরাপত্তাহীন অবস্থায় ছিলেন? কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী প্রশ্ন তুলে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী হাই সিকিওরিটি পান, তিনি যখন পড়ে যান তখন কি তাঁর কাছে কেউ ছিলেন না? মুখ্যমন্ত্রীর আঘাত লাগার পরের ছবি দেখে মনে হচ্ছে ওনার শুশ্রুষা হয়নি? তিনি মুখ্যমন্ত্রী, বিষয়টা চিন্তার।”
এই জল্পনার মধ্যেই শুক্রবার সকালে এসএসকেএম-এর অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। আমি বলেছি, মুখ্যমন্ত্রীর পিছন থেকে ধাক্কা লাগার মতো অনুভূতি হয়েছে, যার ফলে তিনি পড়ে গিয়েছেন এবং কপালে লেগে রক্তপাত হয়েছে।” শুক্রবার সকালে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আঘাত লাগার প্রকৃত কারণ জানার জন্য তদন্তের দাবি জানিয়ে বলেন, “তিনি আমাদের মুখ্যমন্ত্রী, দ্রুত তাঁর আরোগ্য কামনা করছি পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি, কেন না তিনি মুখ্যমন্ত্রী।”
শুক্রবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আসেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কথা বলেন। বৃহস্পতিবার রাত ২টো পর্যন্ত পুলিশের পদস্থ কর্তারা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ছিলেন। লালবাজার সূত্রে জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী চাইলে ঘটনার তদন্ত করবে পুলিশ।