মহানগর ডেস্ক : নির্বাচনী আবহে সরগরম বনগাঁর ঠাকুরনগরস্থিত ঠাকুরবাড়ি। অনশনে বসেছেন রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুর ও মতুয়া ভক্তরা। সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মমতাবালা ঠাকুরও। পৈতৃক ভিটে বাড়ি থেকে অন্যায় ভাবে উচ্ছেদের অভিযোগ তুলে ঠাকুর বাড়িতে শুরু হয়েছে এই অনশন।
এর আগে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় নেট মাধ্যমে, যেখানে তিনি বড়মা বীণাপাণী দেবীর ঘরের তালা ভেঙে ঢুকছেন বলে অভিযোগ করা হয়। বড়মা বীণাপানি দেবীর পাশের ঘরে থাকতেন মমতা ঠাকুর ও তার মেয়ে মধুপর্ণা। এই ঘটনায় মমতাবালা ঠাকুর অভিযোগ তুলেছিলেন, শান্তনু ঠাকুর ঘর থেকে তাঁকে বিতাড়িত করেছেন। তাই পৈতৃক ভিটেতে নিজেদের বাসস্থান ফিরে পেতে, বড়মা বীণাপানি দেবীর ঘরের পাশে একটি খাটিয়া পেতে অনশনে বসলেন মধুপর্ণা ঠাকুর।
মধুপর্ণা প্রশ্ন তোলেন, ‘মেয়ে বলে কি নিজের বাবার সম্পত্তি পাবো না?’ মেয়ের এই যুক্তিকে সমর্থন করেছেন মা মমতাবালাও। শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মমতাবালার অভিযোগ, ‘সাংসদ হওয়ার পর থেকেই ঠাকুরবাড়ির উপরে চরম অত্যাচার শুরু করেছেন।’ মমতাবালার অভিযোগ, ‘গত মাসের ৭ তারিখে শান্তনু ঠাকুর তাঁর দলবল নিয়ে আমার ঘরে ও বড়মার ঘরে তালা ভেঙে তালা দিয়েছেন, তাই প্রয়াত কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের মেয়েরা তাদের ঘরে ঢুকতে পারছে না। বঞ্চিত হওয়ার পরে তাঁরা আমরণ অনশনে বসেছেন। পাল্টা শান্তনুর বক্তব্য, ‘সম্প্রতি হরিচাঁদ গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে জালিয়াতি হয়েছে, তা চাপা দেওয়ার জন্যই এই নাটক। ওই ঘরে আমরা তালা দিইনি। ওটা মতুয়াদের ঘর, মতুয়ারাই ওটা আলাদা করে রেখেছে। মতুয়ারা আগামী দিনে সেই ঘরটিকে হেরিটেজ করবে।’