মহানগর ডেস্কঃ পাকিস্তান জুড়ে জ্বলছে গির্জাগুলি। পরপর গির্জায় অগ্নি সংযোগের ঘটনায় আতঙ্কিত সেখানকার খ্রিস্টানরা। ইসলাম ধর্মগ্রন্থ কোরান অবমাননার দায়ে গত মঙ্গলবার থেকেই হুলস্থুল পরিস্থিতি পাকিস্তানে। পাঞ্জাব প্রদেশের ফয়সলাবাদ শহরে একের পর এক গির্জায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের বাড়িতে হামলা চালায় মৌলবাদীরা।
বুধবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের একটি খ্রিস্টান এলাকায় ইসলামপন্থী গোষ্ঠী তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানের সদস্যরা। কোরআন পোড়ানোর অভিযোগের পর অন্তত পাঁচটি গির্জায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে যে, গির্জার এক সাফাইকর্মীর বিরুদ্ধে কোরান অবমাননার অভিযোগ ওঠে। তবে ওই ব্যক্তির আসলে কি করেছিলেন, সেই সম্পর্কে এখনও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। জারনওয়ালায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পুলিশ দুই খ্রিস্টান যুবককে গ্রেফতার করার পরেই বুধবার উত্তেজনা ছড়ায়। এই অভিযোগ সামনে আসতেই একসঙ্গে পাঁচটি গির্জায় হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী।
জারানওয়ালা এলাকার গির্জাগুলিতে হামলার ভিডিও চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। চার্চ এবং খ্রিস্টান মহল্লাগুলিতে হামলা চালানো হচ্ছে। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আমেরিকা। মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল জানান, “শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার সবার। তবে ধর্মীয় হিংসা মেনে নেওয়া যায় না। গির্জা ও খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের উপর হামলার ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। হিংসার ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে অপরাধীদের দ্রুত শাস্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছি আমরা।”
বৃহস্পতিবার আবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল জানান, “অবিলম্বে পাকিস্তান সরকারকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করতে হবে”। ধর্ম অবমাননা’র অভিযোগে স্বাধীন মতপ্রকাশের কণ্ঠরোধ করা হয় পাকিস্তানে, এমনই অভিযোগ তুলেছেন তিনি।