নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে প্রেমের কারণে দিনে দিনে খুনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এটাই এখন মাথাব্যথার বড় কারণ উঠছে। ঠিক তেমনি একটি হাড় হিম করা ঘটনা ঘটেছে। দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ ২৪ বছর বয়সী এক মহিলাকে গ্রেফতার করেচগে তার প্রেমিকের ছেলেকে খুন করার। শুধু খুনই নয় তাদের বিছানার বাক্সের মধ্যে তার দেহ লুকিয়ে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলেই অভিযোগ উঠেছে।
প্রেমিকের ছেলে তাদের প্রেমে বাধা সৃষ্টি করছে ভেবেই নাবালককে মহিলা খুন করে। অভিযুক্তকে পূজা নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে নাবালককে ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর পূজা তার অপরাধ স্বীকার করে অপরাধ স্বীকার করেছে। মহিলা প্রেমিক জিতেন্দরের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন এবং পশ্চিম দিল্লির রণহোলার বাসিন্দা ছিলেন। এমনকি জিতেন্দর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত না করার জন্য মহিলা প্রেমিকের নাবালক ছেলেটিকে দায়ী করে। ঘটনার পর পুলিশ আধিকারিকরা বেশ কয়েকটি জায়গায় লাগানো প্রায় ৩০০ বেশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর রবিবার বক্করওয়ালায় পূজা কুমারীকে গ্রেফতার করে। পূজা মৃত নাবালকের বাবাকে বিয়ে করেছিল কিন্তু জিতেন্দর বিবাহিত ছিল এবং পূজাকে তার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আশ্বাস দিয়েছিল। তবে কিছুদিন পর, জিতেন্দর বিবাহবিচ্ছেদ করতে অস্বীকার করেন এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে, জিতেন্দর তার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পূজা ১০ আগস্ট বিকেলে ঘুমন্ত অবস্থায় জিতেন্দরের ছেলেকে খুন করে।
অভিযুক্ত মহিলা খুনের পর নিয়মিত তার বাসস্থান পরিবর্তন করে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিচ্ছিল বলেই অপরাধ দমন শাখা জানিয়েছে। দিল্লি পুলিশ ১০ অগাস্ট BLK হাসপাতাল থেকে তথ্য পেয়েছিল যে একটি ছেলেকে মৃত অবিস্থায় আনা হয়েছে, যার গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন ছিল। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, “১০/০৮/২০২৩ তারিখে ১১ বছর বয়সী একটি নাবালক শিশুকে নৃশংসভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল এবং তার মৃতদেহ একটি বিছানার মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল৷ সেই অনুযায়ী, 302 আইপিসি ধারার অধীনে একটি এফআইআর, ইন্দরপুরী থানায় নথিভুক্ত করা হয়েছিল।” পুলিশ আরও জানায়, “সিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়েছে এবং ফুটেজ থেকে দেখা গেছে যে শেষ ব্যক্তি যিনি মৃতের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি একজন মহিলা, নাম পূজা।”