মহানগর ডেস্ক : দেশে লোকসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়েছে। এরই মধ্যে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্য থেকে পাঁচটি রাজ্যসভা আসনে নির্বাচন হতে চলেছে। মঙ্গলবার বাংলার রাজ্যসভা নির্বাচনের জন্য প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিলেন তৃণমূলের সুস্মিতা দেব, নাদিমুল হক এবং বিজেপি-র শমীক ভট্টাচার্য।
কংগ্রেস নেতা সন্তোষ মোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা দেব ২০২১ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। তার পরেই মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে দেওয়া রাজ্যসভা আসনে সুস্মিতা দেবকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। গত বছর তাঁর আসনে মেয়াদ শেষ হলে সুস্মিতাকে রাজ্যসভায় পাঠায়নি তৃণমূল। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই তাঁকে আবার সংসদে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। সুস্মিতা দেব এই নিয়ে দ্বিতীয় বার রাজ্যসভায় যাচ্ছেন তৃণমূলের হয়ে। সুস্মিতা দেব মঙ্গলবার রাজ্যসভার আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে তৃণমূলের সুরেই সুর মিলিয়েই কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়ে বলেন, “পর পর দুই বার রাজ্যসভায় পাঠানো হল আমাকে। উত্তর-পূর্বের রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের আচরণ বঞ্চনামূলক। লোকসভা নির্বাচনের আগে মহিলা সংরক্ষণের ঘোষণা কলেও, কেন্দ্রীয় সরকার ওই সংরক্ষণ কবে কার্যকর করবে, তা কারও জানা নেই।” তৃণমূল এবার চার বিদায়ী সাংসদের মধ্যে তিন জনকে আর রাজ্যসভায় ফেরত পাঠালো না। তবে, এক্ষেত্রে নাদিমুল হক একমাত্র ব্যতিক্রম। মঙ্গলবার নাদিমুল হক মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে বলেন, “এই নিয়ে তৃতীয় বার আমাকে রাজ্যসভায় পাঠানো হল। দলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।”
এদিকে বাংলা থেকে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যকে মনোনীত করেছে। শমীক ভট্টাচার্যও মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দেন বিধানসভায় গিয়ে। এর আগে, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বসিরহাট কেন্দ্রে বিজেপি-র হয়ে দাঁড়িয়ে পরাজিত হয়েছিলেন শমীক ভট্টাচার্য। তবে ওই বছরই বিধানসভা উপনির্বাচনে বসিরহাট দক্ষিণ থেকে জয়ী হন শমীক। যদিও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হন শমীক। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও দমদম কেন্দ্রে সৌগত রায়ের কাছে পরাজিত হন শমীক। মঙ্গলবার বিধানসভায় এসে রাজ্যসভার প্রার্থীর হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়ে তাঁকে প্রার্থী করার জন্য দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। ওই দিন জানা মনোনয়ন জমা দেবেন তৃণমূলের প্রার্থী সাংবাদিক সাগরিকা ঘোষ এবং মতুয়া বাড়ির মমতাবালা ঠাকুর।