মহানগর ডেস্ক: অসৎ উপায় চাকরি পাওয়ার তালিকায় নাম দেখেই আত্মহত্যা করলেন এক শিক্ষিকা। নাম টুম্পরানি মণ্ডল। প্রায় একবছর ধরে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য রাজনীতি। আদালতের নির্দেশে একাধিকবার ভিন্ন ভিন্ন ভাবে তথ্যে নেমেছেন গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। সিবিআই, ইডি তদন্তে নেমে বহু ক্ষেত্রেই একাধিক তথ্য উদ্ধার করেছে। হাই কোর্টের নির্দেশে এবার গোয়েন্দাদের তদন্তের পর স্কুল সার্ভিস কমিশন সম্প্রতি ১৮৩ জন ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করে। আর সেই তালিকা ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর যে তালিকাতেই নাম রয়েছে টুম্পারানি মণ্ডলের। তারপরই রবিবার তার নিথর দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে।
সূত্রের খবর, মৃত টুম্পারানি নন্দীগ্রাম চণ্ডীপুরের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি দেবীপুর মিলন বিদ্যাপীঠের বাংলা বিষয় পড়াতেন। ভাইরাল হওয়া ‘অযোগ্যদের’ তালিকায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নামের পাশাপাশি টুম্পারানি যে স্কুলে শিক্ষকতার নির্দেশ পেয়েছিলেন সেই স্কুলেরও নাম সহ তার নাম প্রকাশিত হয়েছে। পরিবারের দাবি, সেই তালিকা ভাইরাল হওয়ার পরই এই আত্মহননের পথ বেছে নেন টাম্পরানি। তবে এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে আছে কি না, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে চাকরি পান টুম্পারানি মণ্ডল। চার বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। রবিবার বিকেলে চণ্ডীপুরের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় টুম্পারানির নিথর দেহ। পরিবারের লোক তাঁকে উদ্ধার করে চণ্ডীপুরের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশে যে ১৮৩ জন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের তালিকা কমিশন প্রকাশ করেছে, তাতে রয়েছেন ১৮ জন অঙ্কের শিক্ষক, ১৮ জন ভৌত বিজ্ঞানের শিক্ষক, ২১ জন জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক, ৫৭ জন ইংরাজির শিক্ষক, ৩০ জন ভূগোলের শিক্ষক, ২২ জন বাংলার শিক্ষক এবং ১৭ জন ইতিহাসের শিক্ষক। আর এই ২২ জনের মধ্যেই নাম ছিল টুম্পরানি মণ্ডল এর।