মহানগর ডেস্ক: দক্ষিণ শহরতলীর মহামায়াতলার বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র অপ্রতিম দাস তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। রবিবার দুপুরে নরেন্দ্রপুরের ঢালিপাড়ার একটি পুকুরে তাঁর মৃতদেহ ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়রা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সে একটি বিয়েবাড়ি যায়। তারপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। পুলিশে খবর দেওয়া হলেও পুলিশ তৎপর হয়নি ওই ছাত্রকে খুঁজে বের করতে।
পুলিশ শুরু থেকে নিখোঁজ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রকে ঠিক ভাবে অনুসন্ধান করলে ছাত্রটিকে প্রাণে হয়তো মরতে হতো না বলে দাবি করছে এলাকাবাসী। এই কারণেই রবিবার পুলিশ ঢালিপাড়ার পুকুর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করতে এলে এলাকাবাসীর রোষানলে তাদের পড়তে হয়। চলে পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ। যদিও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মমতদেহ উদ্ধার করতে এসে প্রবল ভাবে স্থানীয় মানুষের বাধার মুখে পুলিশকে পড়তে হয়। অবশেষে মৃতদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলেই জানা যাবে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।
মৃত ছাত্রের মা বর্ণালী দাস ফেসবুকে তাঁর পুত্র অপ্রতিম দাসের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি পোস্ট করে একটি ফোন নাম্বার দিয়ে লিখেছিলেন, কেউ তাঁর পুত্রের খোঁজ পেলে ওই মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করতে। অভিযোগ, নরেন্দ্রপুর থানায় বর্ণালী দাস ছেলের নিখোঁজ হওয়ার বওষয়ে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা পাননি।