মহানগর ডেস্ক: গোটা দেশজুড়ে যেদিকে কান পাতা হোক না কেন এখন একটাই বিষয় শোনা যাচ্ছে । তা হল রামমন্দির । অযোধ্যায় মেগা রাম মন্দিরের অভিষেক অনুষ্ঠানের জন্য প্রহর গুনছে সকলে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ দেশের শীর্ষ নেতারা। রাম মন্দির নিয়ে যখন উন্মাদনা তুঙ্গে সেই আবহে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (NCP) নেতা জিতেন্দ্র আওহাদের দাবি ঘিরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেছেন, “ভগবান রাম আমিষাশী ছিলেন”। এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক।
শরদ পাওয়ারের দলের নেতার মন্তব্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে গোটা দেশজুড়ে। অনেকেই মন্তব্যের নিন্দা করেছেন, বুধবার মহারাষ্ট্রের শ্রীদিতে একটি অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছেন। , হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণে ভগবান রাম কত বছর বনে কাটিয়েছিলেন সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এনসিপি নেতা বলেছেন, “ভগবান রাম আমাদের, বহুজনদের। তিনি পশু শিকার করতেন এবং খেতেন। তিনি একজন বহুজন। তাঁরা ভগবান রামের উদাহরণ দিয়ে সবাইকে নিরামিষ বানানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু ভগবান রাম নিরামিষভোজী ছিলেন না, তিনি ছিলেন আমিষভোজী। যে ব্যক্তি ১৪ বছর ধরে বনে থেকেছেন সে কোথায় নিরামিষ খাবার খুঁজবে?” ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে এই মন্তব্যটি একটি ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছে। এনসিপির নেতা অজিত পাওয়ার যিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাঁর গোষ্ঠীর সমর্থকদের একটি বড় দল বুধবার রাতে মিস্টার আওহাদের মুম্বাইয়ের বাড়ির বাইরে এসে তার বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। তারপরড়ে পুলিশ আওহাদের বাড়ির সামনে অতিরিক্ত কর্মী মোতায়েন করেছে। বিজেপি বিধায়ক রাম কদমের নেতৃত্বে, বিক্ষোভকারীরা বলেছে যে তারা নিকটতম থানায় মিছিল করবে এবং এনসিপি বিধায়কের বিরুদ্ধে হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত করে এমন মন্তব্যের জন্য মামলা দায়ের করবে।
বিজেপি নেতা বলেছেন, “বালাসাহেব যদি বেঁচে থাকতেন, আজকের সামনা পত্রিকা তাদের সাথে কঠোরভাবে কথা বলত যারা ভগবান রামকে আমিষভোজী বলেন। কিন্তু আজকের বাস্তবতা কী? ভগবান রাম সম্পর্কে যে কেউ কিছু বলতে পারে; যে কেউ হিন্দুদের নিয়ে মজা করতে পারে। তারা পাত্তা দেয় না। তারা বরফের মতো ঠান্ডা। কিন্তু নির্বাচন এলে তারা হিন্দুত্বের কথা বলবে।” মিস্টার আওহাদ অবশ্য ভগবান রামকে নিয়ে মন্তব্য করে থেমে থাকেননি। তিনি আরেকটি বিতর্কের সূচনা করেছিলেন যে ভারত শুধুমাত্র মহাত্মা গান্ধী এবং জওহরলাল নেহরুর কারণেই স্বাধীনতা পেয়েছে। তিনি বলেছেন, ” যে যা বলুক না কেন, সত্য হল আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি শুধুমাত্র গান্ধী এবং নেহরুর কারণে। গান্ধীজিকে সালে১৯৪৭ হত্যা করা হয়নি, তবে তাঁর উপর প্রথম আক্রমণ ১৯৩৫ সালে, দ্বিতীয়টি ১৯৩৮ সালে এবং তৃতীয়টি ১৯৪২ সালে হয়েছিল।