New Town
মহানগর ডেস্ক : শুক্রবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতায় ইডির আবার ইডি-র তল্লাশি। এদিন সকাল ৬টা থেকে রাজারহাট, নিউটাউন, নাগেরবাজার-সহ একাধিক এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারী আধিকারিকরা। এবার ইডির নজরে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এক ঘনিষ্ঠ পার্শ্বশিক্ষক আবদুল আমিন। এদিন সকালে ইডির ৫ সদস্যের দল পার্থ ঘনিষ্ঠ আবদুল আমিনের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে।
কে এই আবদুল আমিন? আবদুল আমিন হলেন নিউটাউনের পাথরঘাটা হাইস্কুলের প্রাক্তন পার্শ্বশিক্ষক। পাথরঘাটার মাজার শরিফ মোড়ে আবদুলের বাড়ি। এই বাড়িতে শুক্রবার সকালেই পৌঁছেছে ইডি আধিকারিকরা। সকাল থেকেই চলছে টানা তল্লাশি। আবদুল আমিনের কাছ থেকে বিভিন্ন নথি দেখতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা আধিকারিকরা। ইডি-র তদন্তকারীদের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী আবদুল আমিনেট বাড়ি ঘিরে রেখেছেন।
শুক্রবার সকাল থেকে রাজারহাটের কাশীপুরে এক জমি ব্যবয়াসীর বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি। সূত্রের খবর, কাশীপুরের এই বাড়ি চন্দন চট্টোপাধ্যায় নামে এক জমি ব্যবসায়ীর। তিনি নিয়োগ দুর্নীতির মিডলম্যান বলে পরিচিত, ধৃত প্রসন্নকুমার রায়ের ঘনিষ্ঠ বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে চন্দনের কী সম্পর্ক, তা পরখ করে দেখতেই তাঁর বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা গিয়েছেন।
মহানগর ডেস্ক: খাস কলকাতার এক জনবহুল বহুতলে ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর ঘটনা। নিউ টাউনের এক অভিজাত আবাসনের নীচ থেকে উদ্ধার হল কবিতা কাউর নামের বছর ৩৫ এর এক গৃহবধূর রক্তাক্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটার কিছুক্ষনের মধ্যেই সেখানে পৌছায় টেকনো সিটি থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌছেই তদন্ত শুরু করে দেয় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের প্রাথমিক অনুমান আত্মহত্যার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। এই আবাসনের দশ তলায় থাকতেন ওই মহিলা তাঁর স্বামির সঙ্গে তবে বেশ কিছুদিন ধরেই পারিবারিক অশান্তি, স্বামির সঙ্গে ব্যাক্তিগত কারণে ঝামেলা চলতে থাকে তাদের। দিপ্রেশনে ভুগছিলেন ওই মহিলা। আভ্যন্তরীন অশান্তিই এই আত্মহত্যার কারণ কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
দেহ ইতিমধ্যেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্যে। সেই সঙ্গে মৃতার স্বামীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেছে টেকনো সিটি থানার পুলিশ।মৃত্যুর কারণ আদেও আত্মহত্যা নাকি এর পশ্চাৎ-এ অন্য কোনো কারন আছে তা এখন গোটাটাই তদন্তস্বাপেক্ষ। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে চেক করা হচ্ছে আবাসনের সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা, সেই সঙ্গে ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়াছে টেকনো সিটি থানায়।তবে এখনও কোনো অভি্যোগের মামলা দায়ের করা যাবেনা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত।
মহানগর ডেস্ক: ফের শিরোনামে নিউটাউন!সুটকেস বন্দি ছাত্রের দেহ উদ্ধারের রেশ কাটতে না কাটতে ছাত্রীর গণধর্ষণ!আর এবার নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেলিং,যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার এক বাংলাদেশি যুবক।টেকনো সিটি থানার পুলিশ,এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করল নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে।
গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের নাম সোহেল রানা। ঘটনাটি ঘটেছে নিউটাউন বালিগড়ি এলাকায় সোমবার রাতে।বারাসত আদালতে ধৃতকে তোলা হবে মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ।গত দু মাস ধরে নিউটাউনের বালিগড়ি এলাকায় ভাড়া থাকছিল বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার গাজীপুর এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানা নামে ওই যুবক,এমনটাই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।
ওই যুবক বিশেষ কাজে বাংলাদেশ থেকে কলকাতা আসে।যুবকের বিরুদ্ধে নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ,সোহেল রানা নিউটাউন বালিগড়ি এলাকার যে বাড়িতে ভাড়া থাকছিল,সেই বাড়ির মালিকের ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়েকে বেশ কয়েকদিন ধরে একাধিকবার যৌন নির্যাতন করেছে। এরপর তাঁরা পুলিশ কমিশনের কাছে অভিযোগ করে যুবকের বিরুদ্ধে।পুলিশ কমিশনের তরফে নির্যাতিতার পরিবারকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, যে তাঁরা বিষয়টি যথাসম্ভব খতিয়ে দেখবে।
মহানগর ডেস্ক: এবার ধর্ষণকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ল নিউটাউন। শুক্রবার রাতে কলকাতার কেন্দ্রস্থল নিউটাউনে এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। সূত্রের খবর, পার্টি চলাকালীন মদ্যপান করিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। তবে এই মুহূর্তে তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে, শুক্রবার রাতে নিউ টাউনের শাপুরজি আবাসনে।
যেখানে একটি পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। আর প্রতি সপ্তাহের মতোই সেদিনও অফিসের সাপ্তাহিক পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন নির্যাতিতা। পার্টিতে তাঁর অন্যান্য বন্ধুবান্ধবও ছিলেন। তবে একটু রাত হলেই তরুণীকে সুকৌশলে মদ খাওয়ানো হয়। এবং সে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়লে শুরু হয় অত্যাচার।
পরে শনিবার সকালে টেকনোসিটি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করে দায়ের করে ওই নির্যাতিতা তরুণী। তাঁর অভিযোগ, পার্টিতে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে যে তিন যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তাঁদেরকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বর্তমানে টেকনোসিটি থানাতেই রয়েছেন ওই তিন অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তিনজনও মেয়েটির তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় চাকুরিরত। শনিবার সকালে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ নিউ টাউন এলাকা থেকেই দুজনকে গ্রেফতার করে, এবং অন্যজনকে এন্টালি এলাকা থেকে পাওয়া যায়। তাঁদের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ।
কলকাতার এই জায়গায় খুব শীঘ্রই ড্রোনের মাধ্যমে সরবরাহ হতে পারে ওষুধ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস
কলকাতা: যা চাই তা অর্ডার করলেই তা এখন বাড়ির দোরগোড়ায় চলে আসে। সেইগুলি দিয়ে যায় ডেলিভারি বয়রা। তবে এবার কলকাতার নিউ টাউনের বাসিন্দাদের জন্য রয়েছে বিরাট সুখবর। মানুষ নয় আবার ওষুধ, মুদিখান এবং খাবারের মতো বিভিন্ন পণ্য বাড়ির দরজায় দিয়ে যাবে ড্রোন। এই ব্যবস্থা যদি চালু হয় তবে পণ্য ঘরে আসবে তাড়াতাড়ি।
দিল্লি-ভিত্তিক লজিস্টিক সমাধান প্রদানকারী স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় এমন একটি পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে। স্কাই এয়ার মোবিলিটি প্রাইভেট লিমিটেডের সহযোগী ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন এশান খুল্লার বলেন, কোম্পানি ইতিমধ্যেই নিউ টাউনে ১০-১২টি হাউজিং সোসাইটির সঙ্গে এই পরিষেবার জন্য চুক্তি করেছে কারণ ড্রোনগুলি পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে সময় কমাতে সাহায্য করবে৷ খুল্লার একটি অনুষ্ঠানের ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আমরা নিউ টাউন দিয়ে শুরু করতে চাই এবং তারপরে সল্টলেক এবং কলকাতার অন্যান্য অংশে যেতে চাই, পাশাপাশি গ্রামীণ অংশে যেতে চাই যেখানে সংযোগ একটি সমস্যা, যেখানে বি পয়েন্ট থেকে বি পয়েন্টে যাওয়া একটি সমস্যা।” তিনি আরও বলেছেন যে এই কোম্পানিটি কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে হাউজিং সোসাইটিতে ড্রোন ডেলিভারি সক্ষম করার জন্য নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (NKDA) এর মতো বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অংশীদারিত্বের জন্য উন্মুখ। তাঁর কথায়, “পরিঠামো তৈরির জন্য সমিতির সঙ্গে টাই-আপ প্রয়োজন। আমরা স্কাইপড তৈরি করি যেখানে আমরা প্যাকেজগুলি ফেলে দিই। এগুলি যেকোন সমাজে রাখা একধরনের মেইলবক্স।”
কবে চালু হবে এই পরিষেবা…
কোম্পানি আশা করছে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে নিউ টাউনে ডেলিভারি শুরু করবে এবং ছয় মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু হবে। ড্রোনের মাধ্যমে ডেলিভারির অর্ডারগুলি ফুড এগ্রিগেটর এবং ই-কমার্স সাইটগুলির মাধ্যমে করতে হবে যার সঙ্গে কোম্পানির চুক্তি রয়েছে।
এশান খুল্লার জানিয়েছেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক এবং এর সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনুমতি নিয়ে ড্রোন ব্যবহার করা হয়। সংস্থাটি জাবিয়েছে যে তাদের ড্রোনগুলি ৫০০ গ্রাম থেকে ৫০ কেজি পর্যন্ত ওজনের প্যাকেজগুলি সরবরাহ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। কোম্পানী স্বাস্থ্যসেবা, ই-কমার্স, দ্রুত বাণিজ্য, কৃষি-পণ্য এবং অন্যান্য শিল্পের জন্য একটি মূলধারার লজিস্টিক সমাধান হিসাবে ড্রোন সরবরাহকে স্ট্রিমলাইন করার দিকে মনোনিবেশ করছে বলেই জানান খুল্লার । অন্যদিকে নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বুধবার এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “প্যাথলজিকাল পরীক্ষার নমুনা বহন করার জন্য, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ সরবরাহের জন্য ড্রোন পরিষেবাটি খুব কার্যকর হতে পারে। প্রতি মিনিট গণনা করা হলে এটি খুব কার্যকর হবে।” তাঁর কথায়, বিভিন্ন চিকিৎসা পরিষেবার জন্য পুলিশকে প্রায়ই একটি গ্রিন করিডোর তৈরি করতে হয় যাতে কোনো রোগী বা কোনো পণ্য দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে। সেই সমস্যার সমাধান হবে ড্রোনের পরিষেবা চালু হলে।