মহানগর ডেস্ক: শত শত বছর ঘুরে আবার যে সে ফিরে আসতে পারে, হেঁটে বেড়াতে পারে পাহাড়ের পাকদণ্ডি বেয়ে, সেটাই ছিল কল্পনার অতীত। এমনই এক বিস্ময় জাগিয়ে লেন্স বন্দী হয়েছে ১৪০ বছর আগের পুরনো ব্ল্যাক ন্যাপড।
উনবিংশ শতাব্দীতে তখন কমলা আর কালো রংয়ের এই পাখিটাকে দেখা যেত প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাপুয়া নিউগিনির প্রাকৃতির মধ্যে। মাঝে পেরিয়ে গেছে একটা শতাব্দী। তাকে দেখা না যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পরিবেশবিদরা ধরে নিয়েছিল তার সমূলে বিনাশ হয়েছে। কিন্তু না। একবিংশ শতাব্দীতে এসে সারিসারি পাহাড় আর উপত্যকার সবুজ পাহাড়ি গহন পাপুয়া নিউগিনির জঙ্গলেই দেখা মিলল ব্ল্যাক ন্যাপড ফেজেন্ট পিজন। স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে হারিয়ে যাওয়া পাখিদের খুঁজে বেড়ানো পক্ষী প্রেমীদের ক্যামেরাই ধরে ফেলল এই দুর্লভ পাখিকে।
উল্লেখ্য, এই পক্ষে প্রেমী দলটি প্রথম এই এলাকায় এসে স্থানীয়দের থেকেই তাঁর উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারে। এরপর তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে ঘন জঙ্গলে উপত্যকার একটি ঢালে ক্যামেরা ফিট করে দুর্লভ পাখি খোঁজার দলটি। আর পরিকল্পনা মত সেই ক্যামেরায় ধরা পড়ে ১৪০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া কমলা আর কালোর একটু বড়সড় চেহারার ব্ল্যাক ন্যাপড ফেজেন্ট পিজন।
এই পাখিকে যে আদৌ কখনও দেখা যাবে তা ভাবতেও পারেননি কেউ। অবশেষে পাপুয়া নিউগিনির জঙ্গলে এই পাখির দেখা মেলায় বেশ খুশি পক্ষী বিশারদরা। প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে ভেসে থাকা পাপুয়া নিউগিনির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপার। সেই নীল সমুদ্র, সবুজ বনানীর মাঝে কতশত পাখির বাস। আর সেই দ্বীপরাষ্ট্রের জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া পাখির সন্ধান করতেই দেখা মেলে এই ব্ল্যাক ন্যাপডের। ভবিষ্যতে এই পাখিদের সংসারে আরও দুর্লভ পাখির খোঁজ চলছে জোরকদমে।