মহানগর ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচনের আগে খুশির হাওয়া জোড়াফুল শিবিরে। কার্যত বড় জয় পেল তৃণমূল। মহাজোটে ভাঙন ধরিয়ে পঞ্চায়েত নিজেদের দখলে নিল শাসক প্রতিনিধিরা। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেখানে বোর্ড গঠন করেছিল রামধনু জোট। কংগ্রেস, বিজেপি ও সিপিএমের প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্যরা একে একে ঘাসফুলে যোগ দিতেই পঞ্চায়েতটি রামধনু জোটের হাতছাড়া হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগেএই ঘটনায় যে শক্তি আরো বৃদ্ধি পেল তৃণমূলের, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
উক্ত পঞ্চায়েতে মোট আসন রয়েছে ২৮টি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল জয়ী হয়েছিল ৯টি আসনে। কংগ্রেস পেয়েছিল ৬টি, সিপিএম পেয়েছিল ৫টি এবং বিজেপি ৪টি আসন পেয়েছিল। নির্দল জয়ী হয়েছিল ৪টি আসনে। তখন বাম, কংগ্রেস, বিজেপি এবং নির্দল মিলে মহাজোট গঠন করে। এতে মহাজোটের মোট সদস্য সংখ্যা হয়ে দাঁড়ায় ১৯ জন।অন্যদিকে, তৃণমূলের মোট সদস্য ছিল ৯ জন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে বোর্ড গঠন করেছিল রামধনু মহাজোট। তাতে প্রধান করা হয়েছিল সিপিএমের সদস্যকে। তবে লোকসভা ভোটে এগিয়ে আসতেই একে একে তৃণমূলে যোগ দিতে থাকেন মহাজোটের সদস্যরা। প্রধান, উপ প্রধান সহ বিরোধী শিবির থেকে সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দিতেই আস্ত বোর্ড তৃণমূলে দখলে চলে আসে।
দলীয় সূত্রে খবর, প্রথম দফায় তৃণমূলে যোগ দেন পঞ্চায়েতের সাত সদস্য।চলতি মাসের প্রথম দিকে তৃণমূলের ব্লক সভানেত্রী মর্জিনা খাতুনের বাড়িতে গিয়ে তারা তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন। তারপরে দ্বিতীয় দফায় আরও ৮ সদস্য মঙ্গলবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ফলে এই অবস্থায় রামধনু মহাজোটে রয়েছেন মাত্র ৪ জন সদস্য। বাকি ২৪ জন সদস্য তৃণমূলের। স্বাভাবিকভাবেই পঞ্চায়েতের দখল যায় তৃণমূলের হাতে।