মহানগর ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে বিজেপি সাংসদ ও বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উপর হামলার অভিযোগে রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিক-সহ পাঁচ প্রশাসনিক কর্তাকে ডেকে পাঠিয়েছিল লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি। লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটির এই ডাকে সোমবার স্থগিতাদেশ দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
সোমবারই সংসদীয় কমিটির তলবের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ভাগবতীপ্রসাদ গোপালিকা।সোমবার বিষয়টিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিও একই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধান বিচারপতির। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটির নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে ভারতের শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালতের তরফে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এই নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাধিকার রক্ষা কমিটি রাজ্যের মুখ্যসচিব ছাড়াও রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী, বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান এবং বসিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষকে তলব করেছিল, নির্দেশ ছিল সোমবারই সকাল ১০টায় এদের হাজিরার। তবে তার আগেই সকালে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যসচিব। তারপরই শীর্ষ আদালত এই স্থগিতাদেশ জারি করে।
প্রসঙ্গত যেদিন লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি রাজ্যের পাঁচ প্রশাসনিক কর্তাকে তলব করেছিল সেদিন থেকেই জল্পনা চলছিল, এই পাঁচ প্রশাসনিক কর্তা সংসদীয় স্বাধিকার রক্ষা কমিটির ডাকে সাড়া দিয়ে দিল্লি যাবেন কী? গত শনিবার রাজীব কুমারের কাছে সংসদীয় কমিটির তলব নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনও উত্তর দেননি। রবিবার রাত পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে সরকারি ভাবেও এই প্রসঙ্গে কিছু জানানো হয়নি। সোমবার মুখ্যসচিব শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরেই নবান্ন সূত্রে কানা যায় রাজীব কুমার স্বাধিকার রক্ষা কমিটির ডাকে সাড়া দেবেন না। সে কথা তিনি চিঠি দিয়ে লোকসভার সচিবালয়কে জানিয়েও দেন।