মহানগর ডেস্কঃ হাসপাতালে ঘটলো রাত দুপুরে এক তাজ্জ্বব করা ঘটনা। হাসপাতালে বাড়ির আত্মীয় ভর্তি, বাইরে পরিজনের সুস্থ হওয়ার অপেক্ষা করছেন। কখন তাদের প্রিয়জন সুস্থ হয়ে উঠবে এই অপেক্ষাতেই দিন-রাত হাসপাতালে কাটাচ্ছেন । হাসপাতাল করিডর অপেক্ষা করা পরিজনের মনের অবস্থা খুব একটা ভালো থাকে না। তাই মন ঠিক রাখতে এই সময়ে অনেকের সঙ্গে কথাবার্তা হয়। কথা বলতে বলতে অপরিচিত থেকে পরিচিতি বাড়ে। কিন্তু কে জানত এই সুযোগের অপব্যবহার করে সমস্ত জিনিস নিয়ে চম্পট দেবে । হাসপাতাল চত্বরে ৩ জনের খোয়া গেল ফোন,টাকা তাও আবার ঠান্ডা পানীয় পান করে।
এই ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগর হাসপাতাল এর চত্তরেই। ডানকুনির আউজুল মল্লিক, হরিপালের সেখ মহঃ ওলিউল্লা, শ্রীমন্ত সিং । ৩জনেরই নিকট আত্মীয় ভর্তি আছেন চন্দননগর হাসপাতালে। অ্যানেক্স বিল্ডিং-এর সামনে বসে ছিলেন । অনেকের সঙ্গে তারাও রাত জাগছিলেন। এমন সময়ে এক মধ্য বয়সী ব্যক্তি এসে তাদের সঙ্গে আলাপ পরিচিতি জমায়। এরপর ফ্রুটি খেতে দেয় ওই তিনজনকে। তিনজনেই অল্প অল্প করেপানীয় জলে চুমুক দেন। চুমুক দেওয়ার কয়েক মুহুর্তের মধ্যেই অচেতন হয়ে পড়েন ৩ জন। সকালে ঘুম ভাঙার পর যখন ৩ জনের হুশ ফিরল তাঁরা খেয়াল করলেন খোয়া গিয়েছে টাকা ও মোবাইল ফোন। তাও আবার হাসপাতাল এলাকায়। পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে পান করিয়ে, সব কিছু লুট করে চম্পট দেয় ওই যুবক। সকালে যখন মহঃ ওলিউল্লা উঠে শৌচালয়ে যান, সেখানে তিনি মাথা ঘুরে পরে যান, যার জেরে তাঁর মাথা ফেটে যায়। তার প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয় হাসপাতালেই। মাদকের প্রভাব এতটাই মারাত্মক যে, তিনজনেই উঠে দাঁড়াতে পারছেন না।
ভুক্তভোগী মহঃ ওলিউল্লা জানান, ‘আমি রোজা করি। গত রাতে একজন বলল, একটু জুস খান। খাওয়ার পর আর হুঁশ ছিল না। সকালে উঠে মুখ ধুতে গিয়ে পরে যাই। মাথা ফেটে যায়।” হাসপাতালে অনেক ধরনের মানুষ আসেন। কর্তৃপক্ষদের নিরাপত্তা নিয়ে একটু সচেতন হওয়া দরকার। রোগীর পরিজনদের অভিযোগ এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে , হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সিসি ক্যামেরা থাকলেও অ্যানেক্স বিল্ডিং নতুন হওয়ার কারণে সেখানে এখনো কোনো সিসি ক্যামেরা বসানো হয়নি। এমনকি জানা যাচ্ছে এই দ্বারেও সিসি ক্যামেরা ও নিরাপত্তারক্ষী নেই। রোগীর আত্মীয় পরিজনরা যারা রাতে থাকেন, অনেকবার তাদের বলা হয়েছে অপরিচিত কারোর দেওয়া কিছু খাবেন না, তারপরও তারা খেয়েছেন যার জন্য এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।