মহানগর ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর সমালোচনায় যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব সরব ঠিক তখনই প্রশান্ত কিশোর বা পিকের মুখে রাহুলের গুণগান শোনা গেল। তবে মুখে রাহুলের প্রসংশা করলেও ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের ভবিষ্যৎবাণী করতে গিয়ে পিকে এগিয়ে রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই।
সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিকে স্পষ্ট দাবি করেছেন, ভোটের দু’মাস আগে রাহুল গান্ধীর এই ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার কোনও যৌক্তিকতা নেই। তবে পিকে বলেছেন, “গত ১০ বছরে কংগ্রেসের রাজনৈতিক গ্রাফ ৯০ শতাংশ পতন হলেও রাহুল গান্ধির মনোবল হারাননি বরং তিনি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই এগিয়ে চলেছেন।” রাহুল গান্ধী ও নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে তুলনামূলক প্রশ্নের বিশ্লেষণ করতে গিয়ে পিকে জানিয়েছেন কোন বিশেষ গুণের জন্য নরেন্দ্র মোদি অন্য রাজনীতিকদের চাইতে এগিয়ে। পিকে তাঁর ব্যাখ্যায় বলেছেন, “৪৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনের মধ্যে নরেন্দ্র মোদি প্রথম ১৫ বছর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বা আরএসএস-এর প্রচারক হিসাবে কাজ করেছেন। তার পরের ১৫ বছর কাজ করেছেন বিজেপির সংগঠক হিসাবে। শেষ ১৫ বছর তিনি মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন। দেশের খুব কম নেতারই মোদীর মতো এত বিপুল সাংগঠনিক এবং রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে।”
পিকে বলেছেন, এখনই লোকসভা ভোট হলে বিজেপি এবং তাদের জোট এনডিএ অনেকটাই এগিয়ে থাকবে। পিকের দাবি, “রাজনীতিতে দু’মাস অনেকটা সময়।” সে ক্ষেত্রে বিরোধীরাও চাইলে ভোটের ফলে যে চমক দেখাতে পারেন।” তবে পিকে বিজেপির বিরুদ্ধে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার ধারণাকে নস্যাৎ করে বলেছেন, “বিজেপির বিরুদ্ধে একজন না একাধিক প্রার্থী দেওয়া হলো সেটা বড় বিষয় নয়। বিষয়টি ৩৫০ টি আসনে জয়ের লক্ষ্যে প্রার্থী দিলে কম করে ১২৫ থেকে ১৫০টি আসনে জিততে হবে। সেটা হলেও বিজেপিকে বিরোধীরা অপসারিত করতে পারবে ক্ষমতা থেকে। প্রসঙ্গত বিজেপির বিরুদ্ধে সারা দেশে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার ধারণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছিলেন। এই ধারণা থেকেই তিনি বাংলায় কংগ্রেসকে ২টি আসন দিয়ে সারা রাজ্যে নিজের দলের ৪২ জন প্রার্থীকে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন। মমতার এই শর্ত কংগ্রেস মান্যতা দেয়নি। দেখা গেল পিকে নিজেও মমতার এই ধারণা খারিজ করে দিলেন।