হাওড়া: রাজ্য পুলিশে সাদামাটা কনস্টেবেল পদে চাকরি। বেতন বলতে মাস গেলে ২২ হাজারের কিছু বেশি। কী ভাবছেন? সাধারণ মধ্যবিত্তের জীবন? কনস্টেবলের সম্পত্তির পরিমাণ শুনে চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে যাবে আপনারও। সামান্য সরকারি চাকরি করে কোটি কোটি টাকার মালিক বীরভূমের রামপুরহাট থানার কনস্টেবল মনোজিৎ বাগীশ। অভিযোগ সামনে আসতেই রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা গ্রেফতার করে মনোজিৎকে। সূত্রের খবর, কনস্টেবলের সম্পত্তির উৎস থানাতেই।
আরও পড়ুন:মানিকের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত বন্ধ কেন? প্রশ্ন তুললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
এর আগে তিনি বাগনান থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। বাগনান থানার কনস্টেবল হওয়ার পরেও তিনি ট্রাফিকের সহকারী হিসাবে কাজ করতেন। সেই সময়ই নাকি বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হন তিনি। এরপর রাজ্যপুলিশের বিভিন্ন এবফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চে কাজ করেন। জানা গেছে, ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাগনান থানায় কর্মরত থাকাকালীন এক পুলিশ আধিকারীকের প্রশ্রয়ে নাকি তিনি এই বিপুল সম্পত্তির মালিক হন। বাগনানে একপ্রকার মুকুটহীন সম্রাট ছিলেন ওই ব্যক্তি। বেশির সময়ই ইউনিফর্ম না পরেই ডিউটি করতেন মনোজিৎ। বেশিরভাগ সময়ই জাতীয় সড়কে ট্রাফিক কন্ট্রোলের ডিউটি থাকত তার। রাতভর জাতীয় সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়ীত্বে থাকতেন। অভিযোগ এখান থেকেই ক্রমশ ফুলে ফেঁপে ওঠেন মনোজিৎ।
২০১৫ সালের শেষের দিকে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ভবানীভবনে পোস্টিং হন তিনি। উত্তর ২৪ পরগণা ও বারাসত সহ বিভিন্ন জেলার একাধিক থানায় পোস্টিং হন। উল্লেখযোগ্যভাবে সবসময়ই তিনি কনস্টেবল পদেই থাকতেন। এরপর কোটি কোটি টাকার হদিশ পেয়ে দুর্নীতি দমন শাখা রামপুরহাট থানা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।তার এই কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তার সম্পত্তির পরিমাণ দেখে অনেকেই অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সেহগা হোসেনের তুলনা টানতে শুরু করেছে। সেহগাল গরুপাচারকাণ্ডে যুক্ত থাকায় খুব কম সময়ে কুবের ধনের মালিক হন। রকেট গতিতে সম্পত্তি লাভ করেন তিনি। সেই সূত্রের সঙ্গে মনোজিৎ-এর সম্পত্তির কোনও যোগ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখবে পুলিশ।