মহানগর ডেস্ক : এই রাজ্য থেকে যে সমস্ত মানুষ শ্রমিকের কাজ করতে ভিন রাজ্যে যান, তাঁদের জন্য পৃথক স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চালু করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই রাজ্য থেকে ২৮ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক এই মুহূর্তে ভিন রাজ্যে কর্মরত। তাঁদের অসুস্থতা, দুর্ঘটনা ইত্যাদিতে চিকিৎসা করতে যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয় সেই কথা ভেবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চালু করল।
মঙ্গলবার শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে জনজাতি, সম্প্রদায় এবং বিভিন্ন উন্নয়ন বোর্ডগুলোকে নিয়ে বৈঠকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের কথা জানিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে এমন প্রায় ২৮ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছে বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চালু করা প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পশ্চিমবঙ্গেই কাজ করে না তা আবার সারা দেশে কি ভাবে কাজ করবে? সারা দেশে তো কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু আছে, যা বাংলায় চালু করতে দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী এই কার্ড প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমাদের অনেক শ্রমিক-মজদুর রয়েছেন, যাঁরা বাইরে অর্থাৎ ভিন রাজ্যে কাজ করেন। আজ থেকে ওঁদের হাতে একটা আলাদা স্বাস্থ্যস্বাথী কার্ড দিচ্ছি। এঁরা বাইরে কাজ করেন। যখন শরীর খারাপ হয়, তখন ঘরে খবর পাঠান। যে ঘরের মানুষ তা ভাববে, দেখবে। কিন্তু তাঁদের চিকিৎসা করানোর টাকা থাকে না। আমাদের ২৮ লক্ষ বাইরে কাজ করে এমন শ্রমিক-মজদুরদের জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আলাদা ভাবে দিচ্ছি।’’ নবান্ন সূত্রে খবর, ওই কার্ডে পরিবারপিছু পাঁচ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্য বাজেটেও এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্য বিমার জন্য অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।