মহানগর ডেস্ক: গতকাল বিপুল ভোটে যশবন্ত সিনহাকে হারিয়ে দেশের নয়া রাষ্ট্রপতি হয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। যদিওবা এটা আগেই জানা ছিল। কিন্তু কত ভোটের ব্যবধানে তিনি জিতবেন, সেটার দিকে নজর ছিল সকলের। নির্বাচনের পরপরই আদিবাসী নেত্রীর বিরুদ্ধে ভোটে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছিল। সেদিক থেকে বিরোধী শিবিরের কতজন ভোটারকে নিজের দিকে টেনেছেন তিনি, তা সবথেকে বেশি আগ্রহের বিষয়। দেখা যাচ্ছে ক্রস ভোটিংয়ের ক্ষেত্রে ভালোই সাফল্য পেয়েছে গেরুয়া শিবির এবং তাতে খুশি তাঁরা।
হিসেব অনুযায়ী, গোটা দেশে মোট ১২৬ জন বিধায়ক এবং ১৭ জন সাংসদ দ্রৌপদীর জন্য ক্রস ভোট করেছেন। তার মধ্যে সবথেকে বেশি ক্রস ভোটিং হয়েছে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার গড়ে। কংগ্রেস এবং বদরুদ্দিন আজমলের এআইডিইউএফ-এর মোট ২২ জন বিধায়ক ভোট দিয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মুকে। যাতে বোঝা যায় অসমের বিরোধী শিবির কতটা অগোছালো। ক্রস ভোট হয়েছে মধ্যপ্রদেশেও। যেখানে ১৯ জন বিধায়ক ক্রস ভোট দিয়েছেন। যাদের সকলে কংগ্রেসের আদিবাসী বিধায়ক।
বিধায়কদের এই দল বিরোধী পদক্ষেপ চিন্তা বাড়িয়েছে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস শিবিরে। ক্রস ভোটিং হয়েছে মহারাষ্ট্রেও। খাতায়-কলমে বিরোধী শিবিরে আছেন ১৬ জন বিধায়ক, যারা ক্রস ভোট দিয়েছেন। এমনকি মোদির গুজরাটেও জনা দশেক কংগ্রেস বিধায়ক ক্রস ভোট দিয়েছেন। এমনিতে আগেই জানা ছিল, হেমন্ত সরেনের দল ভোট দেবে এনডিএ প্রার্থীকে। কিন্তু পরে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসেরও প্রায় অর্ধেক বিধায়ক ক্রস ভোট করেছেন। রাষ্ট্রপতি ভোটে যশবন্তের হার কার্যত চিন্তা বাড়িয়েছে বিরোধীপক্ষের। ছত্তিশগড়ের ৬ বিধায়কও ক্রস ভোট করেছেন। দেখতে গেলে ক্রস ভোটের তালিকায় বেশিরভাগ বিধায়ক রয়েছেন কংগ্রেস শিবির থেকেই।
চলতি মাসের ১৮ তারিখ হয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। গতকাল ছিল ভোট গণনা। আগামী ২৫ তারিখ শপথ গ্রহণ করবেন এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। ভারতের দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি তিনি। এদিকে ইউপিএ জামানায় প্রতিভা পাটিল পেয়েছিলেন ৬৬ শতাংশ ভোট। আর প্রণব মুখোপাধ্যায় পেয়েছিলেন ৬৯ শতাংশ ভোট। এমনকি রামনাথ কোবিন্দও আগের বার ৬৬ শতাংশ ভোট পান। সেখানে মুর্মু পেয়েছেন ৬৪ শতাংশ ভোট। কিন্তু এই সমস্ত কিছুকে পাশে রেখে এখন জয়ের আনন্দে মেতেছে গেরুয়া শিবির।