মহানগর ডেস্কঃ আজ থেকে বাড়তে চলেছে ৮০০ ওষুধের দাম । আজ এপ্রিল থেকে আর্থিক বর্ষের প্রথম দিন ২০২৪-২০২৫, আর আজ থেকেই বদলাতে চলেছে কিছু ওষুধের দামের মান। কেন্দ্রীয় রসায়ন এবং সার মন্ত্রক, হোলসেল প্রাইস ইনডেক্সের বৃদ্ধির পাশাপাশি এর সাথে তাল তাল মিলিয়ে ওষুধের দামের মানও বেড়েছে।
ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, ব্যথার ওষুধ -পেনকিলার, স্টেরয়েড, অ্যান্টিবায়োটিক। সুগার, কোলেস্টেরল, রক্তচাপ, ভিটামিন, জ্বর, সর্দি-কাশির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের দাম বাড়ার পাশাপাশি জানা যাচ্ছে প্রায় ৮০০ ওষুধের দাম বেড়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বিগত বছরের তুলনায়, এই বছরে ওষুধের দাম কম বৃদ্ধি হচ্ছে। কারণ ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের সুপারিশ মেনে, হোলসেল প্রাইস ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী ৭২৬ টি নানাধরনের ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে। এই দাম আগের পুরনো দামের থেকে ০.০০৫৫১% বেশি। সেই তুলনায় ২০২২-২০২৩ সালের অর্থিক বর্ষে ১০% হারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং ২০২৩-২০২৪ সালের অর্থিক বর্ষে ওষুধের দাম বৃদ্ধিতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল ১২% হারে।
এই বছরে অন্য বছরের তুলনায় কম হারে ওষুধের দাম বৃদ্ধির হওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের অতটাও পকেটে খুব বেশি চাপ হওয়ার বা সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা একটু কম হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য কর্তারা দাবি করছেন আমজনতার ক্ষেত্রে চাপ কম হবে, কিন্তু যারা নিয়মিত ওষুধ ব্যবহারকারী আছেন তাঁরা বেশ সংশয়ে পরেছেন। কারণ, এমন অনেক মানুষ আছেন যাদের আর্থিক পরিস্থিতি অতটাও সচল নয়। বিশেষ করে এমন কিছু দরিদ্র মানুষ আছেন, তাঁদের প্রতিদিন সুগার এবং রক্তচাপের ওষুধ খেতে হয়, তাঁদের কাছে কোনো দ্রব্যের দাম সামান্য বৃদ্ধি পাওয়া মানেই অনেক বড় চিন্তার বিষয়, সেখানে যদি তাঁদের নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের দাম বৃদ্ধি পায়, তাহলে তাঁদের অনেক বেশি সমস্যায় পড়তে হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবিটিসের মতো ৬৯টি ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য, আসলে নতুন করে ওষুধের দাম স্থির করা হয়েছে।
সারা বছর দেখতে গেলে সব খাবার জিনিসের দামই একটু একটু করে বাড়ছে। তাতে কিন্তু ভুগতে হচ্ছে আমজনতাকে। বিশেষ করে যারা দরিদ্র বা দিন দুঃখী। যারা বড়লোক তাঁদের জিনিস পত্রের দাম বাড়লেও সমস্যা হয়না। যারা মধ্যবিত্ত বা গরীব তাঁদের ক্ষেত্রে নিত্যদিনের সব জিনিস পত্র কিনতে গিয়ে তাঁদের চিন্তা করতে হয়। এখন ওষুধের দাম বাড়ায় নিত্যদিন যারা ওষুধ ব্যবহার করেন তাঁরা একটু সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।