মহানগর ডেস্ক: জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA) সোমবার এয়ার ইন্ডিয়ার হুমকি ভিডিওর জন্য খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। গত ৪ নভেম্বর শিখস ফর জাস্টিস (এসএফজে) এর প্রতিষ্ঠাতা তথা সন্ত্রাসী গুরপতবন্ত সিং পান্নুন একটি ভিডিওর মাধ্যমে হুমকিকে বলেছেন যে, ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তনের জন্য এটি ১৯ নভেম্বর বন্ধ থাকবে। তিনি সেদিন এয়ার ইন্ডিয়া এয়ারলাইনসের মাধ্যমে ভ্রমণের পরিকল্পনা করা লোকদেরও হুমকি দিয়ে বলেন যে, তাঁদের “জীবন বিপদে পড়বে”। এনআইএ বিবৃতিতে বলেছে যে, তদন্ত সংস্থা পান্নুনের বিরুদ্ধে IPC 120B (অপরাধী ষড়যন্ত্র), 153A (ধর্ম, জাতি, জন্মস্থান, বাসস্থান, ভাষা ইত্যাদির ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার করা) এবং 506 (অপরাধী ভয় দেখানো) ধারায় মামলা রুজু করেছে। এমনকী পান্নুনের বিরুদ্ধে ১০ (একটি বেআইনী সংস্থার সদস্য), ১৩ (কোনও বেআইনি কার্যকলাপে অংশ নেওয়া বা সংঘটন বা সমর্থন করার জন্য), ১৬ (সন্ত্রাসী আইন), ১৭ (সন্ত্রাসী কার্যকলাপে অর্থায়ন), ১৮ (ষড়যন্ত্র বা চেষ্টা করার জন্য) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিশ্রুতি দেওয়া, উৎসাহিত করা, পরামর্শ দেওয়া বা উস্কানি দেওয়া), 18B (সন্ত্রাসী কাজের জন্য কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিকে নিয়োগের জন্য) এবং 20 (একটি সন্ত্রাসী গ্যাং বা সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হওয়ার জন্য) বেআইনি কার্যকলাপের (প্রতিরোধ) ) আইন, 167-অনুযায়ী অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
৪ নভেম্বর যে ভিডিওটি সামনে এসেছিল তাতে খালিস্তানি সন্ত্রাসী পান্নুন বলেছিল, “আমরা শিখ জনগণকে ১৯ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার মাধ্যমে উড়ে না যাওয়ার জন্য বলছি। সেদিন বিশ্বব্যাপী অবরোধ থাকবে। ১৯ নভেম্বর, এয়ার ইন্ডিয়ায় ভ্রমণ করবেন না, তাহলে আপনার জীবন বিপদে পড়তে পারে।” ১৯ নভেম্বর, পুরুষদের ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি গুজরাটের আহমেদাবাদে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে খেলা হয়েছিল। এছাড়াও ১০ অক্টোবর, পান্নুন, নিষিদ্ধ মার্কিন ভিত্তিক শিখস ফর জাস্টিস (এসএফজে) সংগঠনের প্রধান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছিলেন।
অমৃতসরে জন্মগ্রহণ কারী পান্নুন ২০১৯ সাল থেকে জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) স্ক্যানারে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থা প্রথম মামলা দায়ের করেছিল। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও কার্যক্রম পরিচালনা, হুমকি ও ভয় দেখানোর কৌশলের মাধ্যমে পাঞ্জাব এবং ভারতের অন্যান্য অংশে ভীতি ও সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য প্রাথমিক ভূমিকা পালন করার মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে।