মহানগর ডেস্ক : তীব্র দহন জ্বালায় জ্বলছে গোটা বাংলা। তারওপর সামনেই লোকসভা নির্বাচন। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি তপ্ত হয়ে রয়েছে। এই দাবদাহেই রবিবার পুরুলিয়ায় সভা রয়েছে তৃণণূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবার সভা করবেন বাঁকুড়ায়। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি রয়েছে। বইছে লু। তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু ভোট যে বড় বালাই। এদিকে নেত্রীর সভায় কাতারে কাতারে যে যোগ দেবেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা তা বলাই বাহুল্য। তাদের জন্য এবার বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়েছে জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে।
দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে যে রবিবার পুরুলিয়ার লধুড়রায় ও সোমবার বাঁকুড়ার রাইপুরে দলীয় প্রার্থী সমর্থনে জনসভা করবেন তৃণমূল নেত্রী। তীব্র গরমে সভায় আসা কর্মীদের কষ্ট লাঘব করতে পর্যাপ্ত জলের প্যাকেটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে পুরুলিয়ায়। পাশাপাশি শশা খাওয়ানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে তীব্র গরমে কর্মীদের সভায় আনতে ছাতা দেবে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল।পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলার তিনটি লোকসভা আসন বিজেপির দখলে। তা দখল করা তৃণমূলের কাছে এবারের লোকসভা নির্বাচনে বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু তীব্র গরম বাদ সাধছে। তাই জল ও শশার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। অন্যদিকে, তীব্র গরমে যাতে সভায় আগত মানুষদের কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য ছাতা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বাঁকুড়া তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার কর্মীদের মধ্যে ছাতা বিলি করা হয়েছে।
পুরুলিয়ার জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার দাবি , ”মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে। তীব্র গরমে মানুষের আসতে সমস্যা হবে। তাই আমরা বিশেষ ব্যবস্থা করেছি। সভাস্থলে ছাউনি বড় করা হচ্ছে। যাতে সকলেই ছাউনির তলায় বসতে পারেন। সভায় আসা সবাইকে টুপি দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে।’ তিনি জানান, দুটি বড় স্টল রাখা হচ্ছে। যেখান থেকে শশা কেটে বিলি করা হবে।” অন্যদিকে, বাঁকুড়া কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী জানান,”প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জমায়েতের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সে জন্য সভাস্থলে মাথার উপর বড় ছাউনি থাকবে। তবে কর্মীরা অনেক দূর থেকে হেঁটে আসবেন। চড়া রোদে তাঁদের কষ্ট কমাতে ছাতা বিলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভাস্থলে বিভিন্ন জায়গায় জলের গাড়ি রাখা হয়েছে। এছাড়া ফুচকাসহ নানা ফাস্টফুডের স্টল দেওয়া হবে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় যোগদানকারীদের পাশাপাশি বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে পুলিশ কর্মীদের জন্যও। জলের পাউচ ছাড়াও বেশ কয়েকটি বড় ছাতার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও করা হবে, থাকবে মেডিক্যাল টিমও।