মহানগর ডেস্ক : নিম্নচাপের কারণে বঙ্গে কমে গিয়েছে ঠান্ডার আমেজ। নভেম্বর শেষ হতে চলল কিন্তু জাঁকিয়ে শীতের দেখা নেই। কনকনে ঠান্ডার অপেক্ষায় রয়েছে গোটা বাংলার মানুষ। আবারও কি বৃষ্টি নাকি কম্বে তাপমাত্রা জেনে নিন কি জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকেই নাকি দুই বঙ্গে তাপমাত্রার পারদ নামতে শুরু করবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। গত ২ দিনে ঝকঝকে রোদঝলমলে আকাশ দেখা গিয়েছে দুই বঙ্গে। ঘূর্ণিঝড় কেটে যেতেই পারদ পতন শুরু হবে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস জানিয়েছে পশ্চিমের জেলাগুলিতে দুই থেকে তিন ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে। ডিসেম্বরের আগেই জাঁকিয়ে শীত পড়বে বাংলায়। গত কয়েকদিন ধরে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থেকে কম থাকলেও রাতের দিকে তাপমাত্রা কমছে। আগামিকাল, অর্থাৎ ২২ নভেম্বর, বুধবার দক্ষিণবঙ্গে শুষ্ক আবহাওয়া থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ক্রমশ কমায় ভ্যাপসা গরমও কিছুটা কমেছে। এরপর বুধবারও বাংলার সব জেলাতেই আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। অপরদিকে আবার উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে আগামী চার থেকে পাঁচদিনে রাতের তাপমাত্রা নামার সম্ভাবনা রয়েছে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। আগামী এক সপ্তাহ কলকাতার সর্বোচ্চ পারদ ২৯ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশেই থাকবে বলেই জানা গিয়েছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করবে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। \
আজ ২১ নভেম্বর তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রিতে নামতে পারে এবং ২৩ নভেম্বর তা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁতে পারে। মঙ্গলবার কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বীরভূম, নদিয়া, বর্ধমানে আকাশ মেঘলাই থাকবে। উত্তরবঙ্গেও শীতের আমেজ অনেকটাই বেড়েছে। কালিম্পং, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি জেলায় নতুন করে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে, মণিপুর ও মিজোরামে আগামী ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, তেলেঙ্গানায় রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।