মহানগর ডেস্ক: আগামী ১৭ এপ্রিল রামনবমীর ছুটি ঘোষণা করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই প্রথম রাজ্যে রামনবমীর ছুটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। শনিবার অর্থ দফতর এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
প্রসঙ্গত, গত বেশ কয়েক বছর ধরেই রামনবমীকে কেন্দ্রে করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। ২০২৩-এর রামনবমীতে রিষড়া এবং হাওড়ায় হিংসার ঘটনা পরিলক্ষিত হয়। তার জেরে আদালতের নির্দেশে হনুমান জয়ন্তীতে বেশ কিছু স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। মনে করা হচ্ছে বিগত বছরগুলির কথা মাথায় রেখেই এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রামনবমীতে রাজ্যে পূর্ণদিবস ছুটি ঘোষণা করল।
তবে সামনেই দেশে লোকসভা নিবাচন। আর তার আগে রাজ্য সরকারের এই রামনবমীর ছুটি ঘোষণা যথেষ্ট “তাৎপর্যপূর্ণ” বলে রাজনৈতিক মহলের মত।
রাজ্য সরকারের রামনবমীর ছুটি ঘোষণাকে কটাক্ষ করে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ভোটের আগে কেন এই ঘোষণা নবান্ন করল, তা সবাই বুঝতে পারছে। মানুষ অত বোকা নয়।’’
তবে তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপি ভেদাভেদের রাজনীতিতে বিশ্বাসী বলেই এ সব মন্তব্য করছে। বাংলায় মতুয়া মহাসঙ্ঘের হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিন-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকার ছুটি দেয়। আদিবাসীদের করম পুজোতেও এখন রাজ্য সরকারের ছুটি থাকে। এ বার তাতে যোগ হল রামনবমী। এর সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই।
তবে অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের পর বিজেপি এই ঘটনাটিকে লোকসভা নির্বাচনের অন্যতম হাতিয়ার করে প্রচারে নেমেছে। মার্চ মাসে ইতিমধ্যেই ৪ বার সভা করতে এসে প্রতিবারই নরেন্দ্র মোদী রামমন্দির ইস্যুকে সামনে এনেছেন। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারও সেই রামনবমীকে নির্ভর করেই একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ভোটারদের কাছে টানতে চাইছে বলে রাজনৈতিক অভিজ্ঞমহল মনে করছেন।