মহানগর ডেস্ক: গ্রেফতার ইস্তানবুলে বিস্ফোরণ ঘটানো ব্যক্তি। এমনটাই জানালেন তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সয়লু। যদিও এই ঘটনার পিছনে ‘জঙ্গি যোগ’ এর আঁচ করছেন সেদেশের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান। আর এই আবহে ধৃত ব্যক্তির থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই গোটা ঘটনার রহস্য উদঘাটন সম্ভব বলে মনে করছে সে দেশের প্রসাশন।
উল্লেখ্য, এই হামলার বলি হয়েছে ৬ জন এবং প্রায় ৮১ জn মত জখম হন। প্রাথমিক অনুমান করা হয় যে এই হামলাটি একজন মহিলাই ঘটিয়েছে। কারণ ব্লুমবার্গের রিপোর্ট এর ভিত্তিতে, বিস্ফোরণ এলাকাতে বোমা ফাটার কিছু সময় আগেই এক মহিলাকে একটি পার্সেল রেখে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। তবে ধৃত ব্যক্তি মহিলা না কি পুরুষ তা পরিষ্কার করে জানায়নি তুরস্ক প্রশাসন।
এদিকে বালিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে এরদোগান বলেছিলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের গন্ধ রয়েছে বতে। তবে এখনই এই বিস্ফোরণকে সন্ত্রাসবাদী হামলার তকমা দেওয়া যাবে না।’
অন্যদিকে এই হামলার পর পরই বিস্ফোরণ সংক্রান্ত সমস্ত ভিডিয়ো সম্প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সেদেশ। প্রশাসনের তীক্ষ্ণ নজর ছিল এই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার আলোচনার উপর। তবে জানা গিয়েছে, রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে বেজে ২০ মিনিট নাগাদ বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়। কিছু ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণের সময় ইস্তানবুলের সেই রাস্তা ছিল ভিড়ে ঠাসা। প্রকাণ্ড শব্দের পরই ব্যস্ত এলাকা ছেড়ে প্রাণ ভয়ে প্রত্যেকেই দিকবিদিক শূন্য হয়ে ছুটতে থাকে। অনেকেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। বিস্ফোরণের জেরে সেখানে একটি বিশাল গহ্বর তৈরি হওয়ায় পুলিশ গোটা এলাকাটি ঘিরে মূল রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। মুহূর্তেই রাস্তার আশপাশে থাকা দোকানগুলির ঝাঁপও ফেলে দেওয়া হয়। এরই মাঝে বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে বড় সাফল্য পেয়েছে সেদেশের পুলিশ। তবে পুলিশের তরফে ধৃত সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্য গোপন রাখা হয়েছে।