মহানগর ডেস্ক : সন্দেশখালি-মামলায় সুপ্রিম কোর্টে শেষ পর্যন্ত ধাক্কাই খেল রাজ্য সরকার। সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তে হাই কোর্ট যে নির্দেশই দিয়েছিল, সেটাই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট।
রাজ্য সরকার কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশানুসারে সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। সোমবার রাজ্য সরকারের এই আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইর হাতেই থাকল, এটাতেই আপত্তি ছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল ও রাজ্য সরকারের। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিকাণ্ডে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান গ্রেফতারের পর দল তাকে ৬ বছরের জন্য বহিস্কার করে। তবে তারপরেও একজন বহিস্কৃত নেতার সিবিআই তদন্ত আটকাতে কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকাী ও দল উদগ্রীব হয়ে ওঠে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। রাজ্যের শাসকলদ তৃণমূল এবং রাজ্য সরকার শেখ শাহজাহানের তদন্ত যাতে সিআইডির হাত থেকে সিবিআইর হাতে না যায় তার জন্য শীর্ষ আদালতে চলে যায়। অথচ রাজ্য পুলিশই এই শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ করেছে। তার বিরুদ্ধে ২৪টি মামলায় চার্জ শিট হলেও, এর পরেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার পর্যন্ত করেনি।
রাজ্য সরকার শেখ শাহজাহানের হস্তান্তর আটকাতে এবং তদন্তের ভার সিআইডি থেকে সিবিআইর হাতে যাতে না যায় তা করতে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য, রাজ্যের এই আবেদন খারিজ হয়ে গেল। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ জারি রেখে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, সন্দেশখালিকাণ্ডের তিনটি মামলারই তদন্ত করবে সিবিআই। জানিয়ে রাখা ভাল, ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির আকুঞ্জিপাড়ায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইডির তদন্তকারীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, শাহজাহান বাহিনী ইডির উপর পরিকল্পিত হামলা চালায়। এরপর টানা ৫৫দিন অন্তরালে থাকে শেখ শাহজাহান। শেষে ৫৬ দিনের মাথায় মিনাখাঁ থেকে রাজ্য পুলিশ সন্দেশখালির বাঘ শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে গ্রিন করিডোর দিয়ে তাকে সিআইডির সদর দফগর ভাবনী ভাবনে নিয়ে আসা হয়।
সুপ্রিম কোর্ট এদিন শেখ শাহজাহান কি ভাবে ৫৫ দিল অধরা ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যের পুলিশকে সমালোচনা করে। এ ক্ষেত্রে শেখ শাহজাহান প্রভাবশালী সেই বিষয়টিও শীর্ষ আদালতের নজরে এসেছে। তবে সোমবারের সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে, তা এক্সপাঞ্জ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।