মহানগর ডেস্ক: ফের একবার সন্দেশখালি কান্ডে তৎপর CBI। এবার মিনাখাঁর শাহাজাহান ঘনিষ্ঠ বাপ্পা মন্ডলের ইট ভাটা ও অফিসে পৌঁছল কেন্দ্রীয় সংস্থাকারী দল। সেই সঙ্গেই ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর একটি দল। এদিন একাধিক প্রশ্ন করা হয় শাহাজাহান ঘনিষ্ঠ বাপ্পাকে। শাহাজানের সঙ্গে কতদিন তার পরিচিতি, ইট ভাটা থেকে কত পরিমাণ টাকা শাহাজাহানের কাছে পৌঁছত, ইত্যাদি নানা প্রশ্ন করা হয় বাপ্পাকে। যদিও এদিন সিবিআই হানা দেওয়া কালীন মিনাখাঁর অফিসে ছিলেন না বাপ্পা মন্ডল, এমনটাই খবর সূত্রের। বাপ্পার অনুপস্থিতিতে সেখানে উপস্থিত অন্য এক সহকারীকে জিঙ্গাসাবাদ করে তদন্তকারী কর্মকর্তারা। তাঁরা ঘুরে দেখেন ইট ভাটার পার্শ্বস্থ এলাকা।
একই দিনে শাহাজাহানের আরেক ঘনিষ্ঠ কুতুবউদ্দিন সর্দারের ভাই আজগরের বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই। জানা যাচ্ছে গত ৫ জানুয়ারির ইডি হামলায় কুতুবউদ্দিনের অধীনে কর্মরত একজন ছেলেও উপস্থিত ছিলেন। আইজুল শেখ নামে ওই ছেলেকে ইতিমধ্যেই গ্ৰেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। সেই গ্ৰেফতারি প্রসঙ্গেই আজ কুতুবউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বয়ান রেকর্ড করবেন সিবিআই গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই ইডি অফিসারদের ওপর হামলাকরীদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সঞ্জয় মন্ডল হল তাদের মধ্যে একজন। এদিন সিবিআই দুটি টিমে ভাগ হয়ে তদন্তে নামে। একদল কাজ করে রামপুরে আর অপর দল পৌঁছয় অভিযুক্ত সঞ্জয়ের বাড়িতে। সেখানে ঘুরে ঘুরে গ্ৰামের লোকজনের থেকে বয়ান রেকর্ড করতে থাকে সিবিআই অফিসারেরা। ইডি হামলায় ধৃত শাহাজাহানের ভাই আলমগীর,মাফুজার, সিরাজুলকে পেশ করা হয় বসিরহাট থানায়। ইডি হামলায় এদের প্রত্যেকের যোগ আছে বলেই দাবি করে সিবিআই। সূত্রের খবর আলমগীর ও বাকি ৩ অভিযুক্তকে শাহাজাহান, জিয়াউদ্দিন ও দিলদার বক্সের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করবে সিবিআই।
গত ৫ জানুয়ারি কার নির্দেশে জমায়েত হয়েছিল, কিভাবে হামলার পরিকল্পনা করা হয়, আলমগীর তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাপন কিভাবে করছেন ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জেরা করা হবে বলেও জানা যাচ্ছে সিবিআই সূত্রে।