মহানগর ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচন শাসক-বিরধী দুই দলের প্রার্থী তালিকাতেই নাম রয়েছে প্রাক্তন বিচারপতি থেকে পুলিশ আধিকারিকদের। এবার বীরভূমে বিজেপি প্রার্থী করেছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপার পদে থাকা দেবাশিস ধরকে। প্রার্থী তালিকায় অনেকটাই গড়মসি করেছে বিজেপি। শেষ পর্যন্ত বীরভূমের প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরই নাম দেখা গেল প্রাক্তন এই পুলিশ সুপারের। যিনি লড়বেন তৃণমূলের শতাব্দী রায়ের বিপরীতে। সোমবার তারাপীঠে মায়ের পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করবেন প্রাক্তন এই আইপিএস অফিসার।
প্রসঙ্গত, বীরভূমের আসনটি হাইভোল্টেজ কেন্দ্র রাজনৈতিক মহলের কাছে। অনুব্রত মণ্ডলের গড় হিসেবে পরিচিত হলেও বর্তমানে গরু পাচার মামলায় তিনি তিহারে বন্দি। অনুব্রত হীন গড়ে তাই ভোট করানোটাও একটা চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের কাছে। যদিও এবারেও শাসক দল ভরসা রেখেছে প্রাক্তন সাংসদ শতাব্দী রায়ের ওপরেই। এদিকে, দেবাশিস ধর কোচবিহারের পুলিশ সুপার থাকাকালীন শীতলকুচি কাণ্ড ঘটে। যার পরে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয় বলে অভিযোগ। এই শীতলকুচি কাণ্ড নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল।
তবে, রাজনীতিতে যোগ দিয়ে যে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করেছেন প্রাক্তন পুলিশ অফিসার তা নিজের মুখেই তিনি জানিয়েছেন। দেবাশিস ধরের কথায়, ”এটা আমার জীবনের নতুন অধ্যায়। রাজনীতি আর পুলিশ একে অপরের পরিপূরক। আমি যখন ল অ্যান্ড অর্ডার সামলাতে ইউনিফর্ম পরেছিলাম, তখন মুদ্রার একদিকে ছিলাম। এখন আমি মুদ্রার অন্য দিকে। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে গত তিনবার জয়ী হয়েছেন শতাব্দী রায়। তাঁকে এবারও টিকিট দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে দেবাশিসবাবুর বক্তব্য,আমি তাঁকে দিদি বলে ডাকি। শ্রদ্ধার সঙ্গে বলছি, এখানে দুটি দলের লড়াই হবে।” এক্সে পাল্টা শতাব্দী লেখেন, ”কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছিল। তারপরেই তাঁকে সাসপেন্ড করে রাজ্য সরকার। সিআইডির আতসকাঁচের তলায় ছিলেন ওই অফিসার।”