মহানগর ডেস্ক: ঘৃণা-ভাষণে (Supreme Court On Hate Speech) রাশ না টানলে পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়বে। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে (Minority) প্রকাশ্যে ঘৃণা-ভাষণের বিরুদ্ধে আবেদনে কোনও ভুল নেই। এ ধরণের ঘৃণা-ভাষণ নিয়ন্ত্রণের (Needs To Curb) প্রয়োজন রয়েছে। সোমবার সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণাভাষণের বিরুদ্ধে করা এক আবেদনের শুনানিতে তাদের পর্যবেক্ষণে এমনই মত জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Cour7) । অন্য একটি মামলায় শীর্ষ আদালত উত্তরাখণ্ড সরকার ও দিল্লি সরকারের কাছে গত বছর ধরম সংসদের অনুষ্ঠানে ঘৃণাভাষণ দেওয়ায় পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চায়।
সম্প্রতি রাজধানী দিল্লিতে ভিএইচপি ও অন্যান্য সংগঠনের অনুষ্ঠানে ঘৃণা-ভাষণ দেওয়ায় দিল্লি পুলিশ কয়েকজন বক্তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার কথা শীর্ষ আদালতে জানানোর পর এই পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত ও বিচারপতি এস আর ভাটকে নিয়ে গড়া বেঞ্চ আবেদনকারী এইচ মনসুখানির কাছে ঘৃণাভাষণ নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু ঘটনা এবং তার প্রেক্ষিতে তদন্ত চলাকালীন কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চায়। শীর্ষ আদালত জানায়, ঘৃণা ভাষণের জেরে পরিবেশ নষ্ট হওয়া নিয়ে একজন নাগরিকের এমন একটি আবেদনে সম্ভবত কোনও ভুল নেই। এবং ঘৃণাভাষণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আবেদনকারীর প্রতিটি বক্তব্যে কোনওরকম অসঙ্গতিও পাওয়া যাচ্ছে না।
বেঞ্চ জানায় একটি আদালতের পক্ষে বিষয়টি ভালোভাবে অবগত হওয়ার জন্য একটি সত্য নির্ভর প্রেক্ষিত অবশ্যই থাকতে হবে। আদালতের পর্যবেক্ষণে আবেদনকারী একটি বা দুটি ঘটনায় জোর দিয়েছেন। এই আবেদনে আটান্নটি ঘটনার কথা তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে কেউ ঘৃণা-ভাষণ দিয়েছেন। কিন্তু আদালতে একটি বিশেষ অপরাধের কোনও বিশদ বিবরণ পেশ করা হয়নি। জানানো হয় তার বর্তমান অবস্থা, কী তার পরিস্থিতি ও কারা কারা জড়িত এবং কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কি হয়নি। শীর্ষ আদালত আবেদনকারীকে নির্দিষ্ট ঘটনার কথা জানিয়ে একটি অতিরিক্ত হলফনামার নির্দেশ দেয়।