মহানগর ডেস্ক : বিশ্বভারতীতে ধুন্ধুমার কাণ্ড। অত্যন্ত লজ্জার ঘটনা। ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে অধ্যাপক। অধ্যাপককে তাঁর ঘর থেকে বের করে দিয়ে, তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভে সামিল হল পড়ুয়ারা। অভিযুক্ত বিশ্বভারতীর ভাষা ভবনের আরবি বিভাগের অতিথি অধ্যাপক আব্দুল্লা মোল্লা৷ দীর্ঘ দিন ধরে ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়া থেকে কখনও নম্বর পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাত্রীদের নাইট স্টে করতে বলে হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ করতেন তিনি। এই মর্মে গত ২৮ মার্চ বিশ্বভারতীর ইন্টারনাল কমপ্লেন্ট কমিটিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিন ছাত্রী৷ পরে শান্তিনিকেতন থানাতেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। যদিও অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি বলেই খবর। আর তাতেই আগুনে ঘি পড়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভে। উঠেছে অভিযুক্ত অধ্যাপককে বহিষ্কারের দাবিও।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের অভিযোগে উদাসীন হলেও বিক্ষোভ চলাকালীন বিশ্বভারতীর ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশন অভিযোগকারী ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ছাত্রীরা জানান, ‘এখনও পর্যন্ত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি৷ তাই আমাদের বন্ধুরা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। ওই অধ্যাপককে না সরালে আমরা ক্লাস করব না৷ রাতের পর রাত আমাদের মানসিক নির্যাতন করে মেসেজ করত। আমরা ওর কাছে ক্লাস করব না।’
প্রসঙ্গত, একের পর এক ঘটনা বিশ্বভারতীকে কেন্দ্র করে ঘটেছে। শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম কালিমালিপ্ত হচ্ছে বারে বারে। কেন ছাত্রীদের কাছ থেকে এমন গুরুতর অভিযোগ পেয়েও এখনও পদক্ষেপ নিল না কর্তৃপক্ষ? উঠছে প্রশ্ন।