মহানগর ডেস্ক: সুপ্রিম নির্দেশে বড়সড় স্বস্তি পেল ঠাকরে শিবির (Thackeray Camp)। শিবসেনার (Shivsena) মালিকানা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল শিণ্ডে শিবির (Shinde Camp)। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনকে একনাথ শিণ্ডের সেই আবেদন নিয়ে আপাতত সিদ্ধান্ত না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর গদি নিয়ে লড়াই থেমে যাওয়ার পর, এবার শিবসেনা প্রধানের পদ নিয়ে লড়াই শুরু হয়েছে। এখন প্রশ্ন, শিবসেনা কার?
নির্বাচন কমিশনের কাছে মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী দাবি জানিয়েছিলেন, শিবসেনার দুই তৃতীয়াংশ বিধায়ক তাঁর শিবিরেই রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাঁরাই আসল “শিবসেনা”। প্রসঙ্গে উদ্ধব ঠাকরে ও একনাথ শিণ্ডে উভয়কেই তাঁদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বলা হয়েছিল কমিশনের পক্ষ থেকে। এদিন সেই নিয়ে সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি এনভি রামনার বেঞ্চ। চলতি মাসের ৮ তারিখের মধ্যে ২ শিবিরকেই উপযুক্ত প্রমাণ সহ হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল EC। এদিকে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, শিবসেনার মালিকানার বিষয়টি সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে পাঠানোর দরকার আছে কিনা, তা আগামী সোমবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রথমে শিবসেনার উপযুক্ত দাবিদার নিয়ে দুই পক্ষের প্রশ্ন-উত্তরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আদালত কক্ষ। উদ্বব শিবিরের আইনজীবী কপিল সিব্বল শিবসেনার মালিকানা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা স্থগিত করার আর্জি জানান সুপ্রিম কোর্টের কাছে। তাঁর যুক্তি, বর্তমানে বিরোধী শিবিরের একাধিক বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা জারি রয়েছে আদালতে। এই মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত শিবসেনার দাবিদার নির্ধারণ করা যায় না। যদিও ঠাকরে শিবিরের আইনজীবীর যুক্তি মানতে নারাজ শিণ্ডে শিবিরের আইনজীবী হরিশ সালভে।
বিরোধী শিবিরের আইনজীবী জানিয়েছেন, শিবসেনা প্রধানের দায়িত্বের সঙ্গে বিধায়ক পদ খারিজের কোনও যোগ নেই। কিন্তু তাতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা। তাঁর প্রশ্ন, ‘বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর কেউ যদি সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলকে উপেক্ষা করে, তবে তা গণতন্ত্রের পক্ষে বড় বিপদ নয়?’ তাতে শিণ্ডে শিবিরের আইনজীবী জানিয়েছেন ‘না’।
প্রসঙ্গত গত মাসে ৪০ জন বিদ্রোহী সাংসদদের নিয়ে শিণ্ডে গুজরাটে যাওয়ার পর ভোল বদলে গিয়েছে মারাঠা রাজনীতির। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে গিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। নতুন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে। এখনও পর্যন্ত শিবসেনার বেশিরভাগের সমর্থন রয়েছে শিণ্ডের সঙ্গে। তবে দলের প্রধান হওয়ার জন্য শুধুমাত্র দুই-তৃতীয়াংশ বিধায়ক থাকলেই হবে না। সেক্ষেত্রে দলীয় পদাধিকারীদের মধ্যে ১৮৮ জনের সমর্থনের দরকার পরবে। তবেই তিনি জোর গলায় বলতে পারবেন “শিবসেনা” তাঁর। আপাতত আগামী সোমবার পর্যন্ত স্বস্তিতে উদ্ধব শিবির।