মহানগর ডেস্ক : অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি যেমন কোন ভয়াবহ অসুখের বার্তা বয়ে আনে। ঠিক একইভাবে অতিরিক্ত রোগা হওয়ার পেছনেও কিন্তু রয়েছে কারণ। প্রথমত বংশগত বা জেনেটিক কারণ তো রয়েছে। এছাড়া হরমোন জনিত কারণেও অনেকে প্রয়োজনে তুলনায় বেশি রোগা থাকেন। তবে রোগা থাকা মানে যে সুস্থ এই ধারণাটা একেবারে ভুল।
বংশগত কারণে যদি কেউ রোগা ছিপচিপে থাকে তাহলে অসুবিধা নেই। কিন্তু কেউ যদি মোটাসোটা থেকে হঠাৎ করে ভীষণ রোগা হয়ে যেতে শুরু করে তাহলে বুঝতে হবে শরীরে ভাষা বেঁধেছে কোন কঠিন অসুখ। অনেকে আবার স্বপ্নের ফিগার পেতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি রোগা হয়ে যান শরীর চর্চা করে। সে ক্ষেত্রেও কিন্তু রয়েছে বিপদ।
প্রথমে বলি জোর করে রোগা হলে কি কি সমস্যা হতে পারে…
সাধারণত বিশাল মেটাবলিক রেট বা বি এম আর ১৮.৫ তাকে আমরা রোগা বলি। তবে অতিরিক্ত রোগা হলে প্রথমেই যেটি হয় তা হলো ত্বকের সমস্যা। শরীরে ফ্যাট কম থাকায় ওয়েদার ইন টলারেন্স বা আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চামড়ায় সংক্রমণজনিত অসুখ দেখা দেয়।
অতিরিক্ত রোগা হলে দাঁত এবং চোখের সমস্যাও দেখা দেয় ভীষণভাবে।
প্রয়োজনে তুলনায় বেশি রোগা হলে হজম শক্তিতে সমস্যা হয়। হজম শক্তি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এছাড়া বিভিন্ন ধরনের হাতে মুখে ঘা সৃষ্টি হয়। পাকস্থলী হৃদযন্ত্র বৃহতন্ত্রে ঘা সৃষ্টি হতে পারে।
যারা অতিরিক্ত রোগা তাদের শরীর বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে তাড়াতাড়ি। এছাড়া হতে পারে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা। বন্ধ্যাত্ব, অস্টিওপোরোসিস ইত্যাদি সমস্যাও দেখা দেয়।
এটি কোন অসুখ দায়ী রোগা হওয়ার পেছনে…
বংশগত কারণে না হলেও অনেকে জন্মগত ত্রুটি থাকে। যেমন খাবার হজম হতে দেরি হয়। পুষ্টির অধিকাংশ অংশ মল দিয়ে বেরিয়ে যায়। হর্সপাং ডিসিস, মেল অ্যাবসর্পসন সিনড্রোম ইত্যাদি দেখা দেয়। বিভিন্ন সংক্রমণের কারণেও হতে পারে। কিউবারকুলোসিস রোগ মানুষকে দ্রুত রোগা করে দিতে পারে। আবার অতধিক ডায়াবেটিস যদি শরীরে বাসা বাঁধে সে ক্ষেত্রেও দ্রুত রোগা হয়ে যায় মানুষ। হঠাৎ করে রোগা হয়ে যাবার পেছনে অনেক সময় এইচআইভি এবং ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ বাসা বাঁধে শরীরে।