মহানগর ডেস্কঃ ছোট সংস্থার সুবিধার জন্য কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন, এবং বিমায় আলাদা করে অনুদান না দিয়ে তারা যাতে একবারেই সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিতে পারে তার জন্য নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে চলেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা শুরু করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
নতুন প্রপস্তাব অনুযায়ী যে সংস্থাগুলিতে ১০ – ২০ জন কর্মী রয়েছে তাঁদের দুই আলাদা সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে অনুদান দিতে হবে না। কর্মীর মূল বেতনের ১০ – ১২ শতাংশ অনুদান হিসেবে দিতে হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে। এর ফলে অনেকটাই খরচ কমবে সংস্থাগুলির।
যে সংস্থায় কর্মী সংখ্যা ১০ – ১৯ জন, সেই সংস্থাকে শুধুমাত্র ইএসআইসি প্রকল্পে টাকা জমা দিতে হয়। সংখ্যাটা ২০ জন বা তার বেশি হলেই ইপিএফও খাতেও অনুদানের টাকা দিতে হয় নিয়োগকর্তাকে।
এই প্রস্তাবের উপর ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু করা হয়েছে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির তরফে। সব কিছু বিবেচনার পরে তাঁদের তরফে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রস্তাব অনুযায়ী, কর্মীদের বেতনের ১০ – ১২ শতাংশ বিমা প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন, অন্যান্য সুবিধার জন্য আলাদা করে ইপিএফ এবং ইএসআইসিতে টাকা জমা না দিয়ে এক জায়গায় জমা দিতে পারবে। ১০ থেকে ২০ জন কর্মী রয়েছে এমন সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে এই নিয়ম চালু করা হতে পারে বলে বিষয়টা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মহলের তরফে জানানো হয়েছে।
কর্মীদের একাধিক সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সুবিধা দিতে নতুন নিয়ম তৈরি করা বা পুরনো নিয়মে বদল আনতে কেন্দ্রকে নির্দেশিকা জারির অনুমোদন দিয়েছে ২০২৯ সালের সামাজিক সুরক্ষা বিধি। পাশাপাশি ইপিএফও প্রকল্পে অনুদানের জন্য সংস্থায় প্রয়োজনীয় কর্মী সংখ্যা বর্তমানে ২০ থেকে ১০ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এর ফলে বহু ছোট সংস্থা ইপিএফও প্রকল্পের আওতায় চলে আসবে। ইএসআইসি প্রকল্পের ক্ষেত্রে সংস্থায় ১০ জন বা তার বেশি কর্মী থাকা বাধ্যতামূলক।