মহানগর ডেস্ক: ১৪৪ ধরাকে মান্যতা দিয়ে বৃহস্পতিবার বিধানসভা থেকে নিজের সঙ্গে তিনজন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে সন্দেশখালি রওনা হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার সন্দেশখালি অভিযানে কৌশল বদল করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় প্রবেশ করতেই সন্দেশখালি নিয়ে তাঁর বিবৃতি দাবি করে বিজেপি, মুখ্যমন্ত্রী বিবৃতি না দিলে বিজেপি বিধায়করা ওয়াক আউট করেন।
বিধানসভার বাইরে গাড়িতে ওঠার আগে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি ১৪৪ ধারাকে মান্যতা দিয়ে চারজন আজ সন্দেশখালি যাচ্ছি। দেখি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ কি করে আটকায়। আমাদের পুলিশ যেখানে বাঁধা দেবে আমরা সেখানেই বসে পড়ব। তারপর কাল আদালতে দেখা হবে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের সঙ্গে।”
শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিধানসভার সামনের থেকে সন্দেশখালি রওনা হন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, তাপসী মণ্ডল এবং চন্দনা বাউরি।
প্রসঙ্গত, বুধবার টাকি হোটেলের সামনে থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যখন সন্দেশখালি যাওয়ার জন্য এগোতে চেষ্টা করেন তখন বিরাট পুলিশ বাহিনী তাঁকে বাঁধা দেয়। তখন সুকান্ত পুলিশের গাড়ির উপর উঠে পড়লে ওই পুলিশের গাড়িটি চালিয়ে দেওয়া হয়। তার ফলে টাল সামলাতে না পেরে সুকান্ত ওই গাড়ির উপর থেকে পড়ে যান, জ্ঞান হারান। তারপর তাঁকে প্রথমে বসিরহাট হাসপাতাল তারপর সেখান থেকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে সুকান্ত মজুমদার কলকাতার ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এর আগে সিপিএমের একটি প্রতিনিধি দল, কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলকে যথাক্রমে রামপুর এবং ধামাখালিতে রাজ্যের পুলিশ আটকে দেয়, সন্দেশখালিতে যেতে দেয়নি। শুভেন্দু অধিকারীকে এর আগে সন্দেশখালি থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে কলকাতা সংলগ্ন বাসন্তী হাইওয়েতে পুলিশ আটকে দেয়।
অথচ মঙ্গলবার তৃণমূলের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং নেতা নারায়ণ গোস্বামীকে পুলিশ সন্দেশখালির কাকীনগরে ঢুকটে এবং বৈঠক করতে দেয়।
শুভেন্দু এদিন বলেন, “আমরা ওয়ান প্লাস থ্রি সন্দেশখালি যাচ্ছি। দেখি মমতা পুলিশ কী করে!”