মহানগর ডেস্ক: শ্রদ্ধা কান্ডের ছায়া। ফের লিভ-ইন-পার্টনারকে খুন। শনিবার সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রের নাগপুর শহরের একটি হোটেল রুমে ৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি তার লিভ-ইন পার্টনার এবং তাদের তিন বছরের ছেলেকে খুন করার পর নিজেও আত্মহত্যা করেছে। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
suicide
মহানগর ডেস্ক: আবারও পরকীয়ায় প্রাণ গেল ২৪ বছরের এক নিরীহ গৃহবধূর। স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে মাসুল গুণতে হলো তাঁকে । প্রতিদিনের দুঃখ কষ্ট একেবারে শেষ করতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন তরুণী। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনাটি ক্যানিং এর মাতলা ২নং মিঠাখালী এলাকায় ঘটেছে, ক্যানিং থানার অন্তর্গত এই অঞ্চলটি। ওই মৃতা গৃহবধূর নাম অর্পিতা অধিকারী, বয়স ২৪বছর। অভিযুক্ত স্বামীর নাম কৌশিক অধিকারী। মৃতার স্বামী পরকীয়ায় জড়িত এই ঘটনা যবে থেকে অর্পিতা জানতে পারেন ওই তৃতীয় মহিলা কে নিয়ে দম্পতির মধ্যে প্রতিদিন ঝগড়া লেগেই থাকতো। আর যখনই অর্পিতা ঝামেলা করতেন তাঁর স্বামী কৌশিক তাঁকে মারধোর করতেন। দীর্ঘদিন ধরে মনের মধ্যে কষ্ট জমে ছিল, এই দুঃখে আর কষ্ট সহ্য করতে না পেরে গলায় দড়ি দেন অর্পিতা।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং পরিবার সূত্রে খবর, বেশ কয়েক মাস ধরে কৌশিক অন্য মহিলার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত আছেন। ওই মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক হওয়ার পর থেকে বেশিরভাগ সময়ই বাড়ি ফিরতেন না, ওই মহিলার সঙ্গে সময় কাটাতে ব্যস্ত থাকতেন। অর্পিতা একদিন পুরো বিষয়টা জানতে পেরে যান, তারপর থেকে চলে ঝামেলা অশান্তি, কারণ অর্পিতা তাঁদের জঘন্য সম্পর্কের প্রতিবাদ করতেন প্রায় সময়। মৃতার মা বলেন, যখনই অর্পিতা প্রতিবাদ করতেন তখনই মারধোর করতেন কৌশিক। এমনকি মৃতার মা এর দাবি এই দিনও অর্পিতাকে মারা হয়েছিল, যার জন্য মাথায় আঘাত লাগে। এই রাগ অভিমান অভিমানে অর্পিতা সামলাতে আর না পেরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
জানা যাচ্ছে, শ্বশুরবাড়ির লোক অর্পিতাকে উদ্ধার করেন, তারপর তাঁকে ক্যানিং মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁরা। সেখানে অর্পিতার চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। অর্পিতা মারা গেছে এই কথা তাঁর পরিবার জানতে পারার পর, শোকের ছায়া নেমে আসে মৃতার পরিবারে। মৃতার পরিবার প্রথম থেকে ক্ষুব্ধ ছিলেন তার এমন কাজে, এরপর তাঁদের বাড়ির মেয়ে মারা যাওয়ায় মেয়ের পরিবার আরও বেশি ক্ষুব্ধ হন। মেয়ের পরিবার অভিযোগ দায়ের করেন জামাইয়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ মৃতার স্বামী কৌশিকক অধিকারীকে গ্রেফতার করে।
মহানগর ডেস্কঃ কোটায় এক সপ্তাহের মধ্যে ফের আত্মঘাতী পড়ুয়া। আত্মঘাতী কিশোরীর বয়স ১৮ বছরের এক জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষার্থী। নতুন বছরের এটি দ্বিতীয় ঘটনা। মা, বাবাকে চিঠি লিখে আত্মঘাতী ১৮ বছরের এই পড়ুয়া। চিঠিতে ওই পড়ুয়া লিখেছে, ‘মা-বাবা, আমি জয়েন্টে পারব না।’ পুলিস সূত্রে খবর , নীহারিকা নামে এই ১৮ বছরের কিশোরী নিজেকে বাজে মেয়ে বলে দাবি করেছে।
অত্যন্ত দুঃখজনক এই ঘটনার পর ফের প্রশ্নের মুখে কোটায় জয়েন্টের প্রস্তুতি নিতে যাওয়া ছাত্রছাত্রী দের মানসিক চাপের ব্যপারে । দুদিন পর, বুধবার, ৩১ সে জানুয়ারি ছিল জয়েন্ট পরীক্ষা। তার আগে সোমবার-ই বাবা, মা-কে চিঠি লিখে চরম পথ বেছে নেয় ওই কিশোরী। পরীক্ষা চিন্তায়, মানসিক চাপে পরেই ওই ছাত্রি আত্মঘাতী হয়। যা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে তার লেখা সুইসাইড নোটে। চিঠিতে সে লিখেছে, “মা-বাবা, আমি জয়েন্টে পারব না। তাই আমি আত্মহত্যা করছি। আমি একজন হেরে যাওয়া মানুষ, আমি-ই কারণ, আমি সবচেয়ে খারাপ মেয়ে, সরি, মা-বাবা। এটাই শেষ উপায়।” সূত্রের খবর, ১৮ বছরের এই জয়েন্ট পরীক্ষার্থী রাজস্থানের কোটায় থেকে সে JEE মেইনসের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পরীক্ষার ২ দিন আগে কোটার শিক্ষা নগরী এলাকায় নিজের ঘরেই আত্মঘাতী হয় সে। উদ্ধার হয়েছে তার ঝুলন্ত দেহ।
এর আগে এই একই ঘটনা ২৩ জানুয়ারি ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশের এক পড়ুয়া কোটায় আত্মঘাতী হয়। NEET-এর পরীক্ষার্থী ছিল সে। প্রাইভেট কোচিংয়ের মাধ্যমে NEET-এর প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে কোটায় থেকেই। মহম্মদ জায়েদ নামে ওই পরীক্ষার্থী আসলে মোরাদাবাদের বাসিন্দা,বয়স ১৭ ছিল। একটি হস্টেলে থেকে NEET পরীক্ষার জন্য কোচিং নিচ্ছিল সে। নিজের ঘর থেকেই তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তবে কোনও সুইসাইড নোট ঘর থেকে পাওয়া যায়নি। বলতে গেলে, ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষার কোচিং ইনস্টিটিউটের জন্য বিখ্যাত রাজস্থানের এই কোটা। কিন্তু এই কোটাতেই ২০২৩ সালে আত্মঘাতী হয়েছে ২৯ জন মতো পড়ুয়া। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কোচিং সেন্টারগুলিতে পড়াশোনার বিপুল পরিমাণ চাপের জন্য এর মধ্যে পরীক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কর্তৃপক্ষ ব্যপারটি নজরে রাখছেন, উদ্যোগ নিচ্ছেন সমস্যা সমাধানের ।
তিন বিয়ের পর আরও এক প্রেমিকার সঙ্গে লিভ-ইন! অশান্তির জেরে ভয়ংকর সিদ্ধান্ত যুবকের
মহানগর ডেস্ক: গোলমাল লিভ-ইন পার্টনারের সঙ্গে। ফ্ল্যাটের মধ্যে আত্মঘাতী এক যুবক তারই জেরে। এর পরই পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ দায়ের যুবকের পরিবারের বান্ধবীর বিরুদ্ধে প্ররোচনার অভিযোগে।ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।পুলিশ সূত্রে খবর,মৃত ওই যুবকের নাম অনীক সাহা (৩২)। একটি ফ্ল্যাটে বান্ধবীটিকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন তিনি পর্ণশ্রীর গোপাল মিশ্র রোডে। আসলে হাওড়ার লিলুয়ার বাসিন্দা খাবার সরবরাহ সংস্থার কর্মী।
সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, এর আগেও তিনটি বিয়ে করেছিলেন অনীক। হুগলির বাসিন্দা তাঁর বান্ধবীরও বিয়ে রয়েছে একাধিক। দুই সন্তানের মা ওই যুবতী। তাঁরা সম্পর্কে ছিলেন প্রায় আড়াই বছর ধরে। কয়েক মাস আগে অনীকের বিরুদ্ধে বান্ধবী ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অনীক গ্রেপ্তার হন। পরে অভিযোগ তুলে নেন তিনি।
গোলমাল তখনকার মতো মিটে গেলেও পরে ঝামেলা হয় দু’জনের ধ্যে। যুবক গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন তারই জেরে। তাঁর বান্ধবীই এদিন ১০০ ডায়ালে ফোন করে পুলিশকে জানান সেই দৃশ্য দেখে। দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ,আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে যুবতীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পঞ্চম বার বিয়ের পিঁড়িতে স্ত্রী, শোকে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী যুবক
মহানগর ডেস্ক: বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও পঞ্চম বার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন স্ত্রী। ৩৫ বছরের যুবক সেই শোকে নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হল এক যুবক । নিজের একটি ভিডিয়ো করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি আত্মহত্যা করার আগে। ইনদওরের জুনি এলাকায় ঘটে এই ঘটনাটি।মৃত যুবকের নাম সুনীল লোহানি।
পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে,এক মহিলার সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন সুনীল ২০১৮ সালে। সুনীল ছিলেন মহিলার চতুর্থ স্বামী। কিন্তু তাঁদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয় গত এক বছর ধরে। পুলিশ সূত্রে খবর, বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকছিলেন সুনীলের স্ত্রী গত বছর থেকেই। যৌতুক নেওয়ার অপরাধে সুনীলের বিরুদ্ধে তিনি থানায় অভিযোগও দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুনীল গত সপ্তাহে জানতে পারেন যে তাঁর স্ত্রী বিয়ে করতে চলেছেন পঞ্চম বার। স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল অশান্তি হয় তাঁর সেই খবর পেয়ে। বাড়ি ফিরে সেই অশান্তির জেরে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন সুনীল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছে সুনীলের বাড়ি থেকে। সেই চিঠিতে লেখা রয়েছে যে, পঞ্চম বার বিয়ে করতে চলেছেন তাঁর স্ত্রী, সেই কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।তবে আত্মহত্যার নেপথ্যকারণ আদতে কী তা জানতে পুলিশ এখনও তদন্ত চালাচ্ছে।
মহানগর ডেস্ক: রহস্যমৃত্যু মা ও শিশুর। সাতসকালে দুজনের দেহ উদ্ধার হল মালদহের কৃষ্ণপল্লি এলাকায় রেললাইনের ধার থেকে। এলাকায় ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, স্থানীয়রা শুক্রবার সকালে মালদহের কৃষ্ণপল্লি এলাকায় রেললাইনের পাশে দুটি দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। থানায় খবর দেওয়া হয় তড়িঘড়ি। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে।সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে দেহের পাশ থেকে।সূত্র অনুযায়ী জানা যায়, মৃত মহিলার নাম চুমকি গুপ্ত হালদার। তাঁর স্বামী সুব্রত হালদার। পেশায় স্কুল শিক্ষক। তাঁরা মালদহ শহরের নিউ বাঁশবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
কিন্তু মা-সন্তানের মৃত্যু ঠিক কী কারণে? তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পুলিশের সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। পাশাপাশি,খতিয়ে দেখা হবে পারবারিক কোনও অশান্তি ছিল কি না। মৃতার স্বামী ও আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলা হবে এই বিষয়ে। তদন্তকারীরা আশা করছেন, অবিলম্বেই গোটা বিষয়টা স্পষ্ট হবে।
মহানগর ডেস্ক: পুলিশকর্মীর রহস্যমৃত্যু খাস কলকাতায়। ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার বাড়ি থেকে। পর্ণশ্রীতে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। কিন্তু এই চরম সিদ্ধান্ত ঠিক কী কারণে? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, মৃত পুলিশ কর্মীর নাম পুলক দত্ত। তিনি বেহালার পর্ণশ্রী থানা এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে সংসার।ওই পুলিশকর্মী এদিন রাতে বাড়িতে একাই ছিলেন।
বাড়িতে স্ত্রী ও মেয়ে ছিলেন না। তাঁরা ফিরে একাধিকবার ডাকাডাকি করলেও পুলকবাবু কোনও সাড়া দেননি। স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় পড়ে যান তাঁর স্ত্রী। প্রতিবেশীরা এদিকে ডাকাডাকিতে বেড়িয়ে আসেন। এর পর পর্ণশ্রী থানায় খবর দেওয়া হয়।
অতঃপর বিশাল বাহিনী খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে যায়। দরজা ভাঙতেই পুলিশ কর্মী ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হন। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। কিন্তু ওই পুলিশ কর্মী কী কারণে আত্মঘাতী হলেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। চাকরি বা পারিবারিক জীবনে কোনও সমস্যা ছিল কি না,পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
মহানগর ডেস্ক: যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হলো ইডেন গার্ডেন্স থেকে। ২১ বছর বয়সি এক যুবকের দেহ সোমবার সকালে গ্যালারির কে ব্লক থেকে উদ্ধার হয়।সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম ধনঞ্জয় বারিক। ইডেনে মাঠকর্মী হিসাবে কাজ করতেন তাঁর বাবা ও কাকা। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে,ধনঞ্জয় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তার পরেই তিনি আত্মঘাতী হন।
মৃতের বাবা ও কাকা ইডেনে গ্রাউন্ডস্টাফ হিসাবে কাজ করতেন। ধনঞ্জয়েরও সেই কাজেই যোগ দেওয়ার ইচ্ছা ছিল। তাই পড়াশোনা শেষ করে ওড়িশা থেকে কলকাতায় চলে আসেন তিনি। স্টাফ কোয়ার্টারেই বাবা ও কাকার সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। কিন্তু ইডেন গার্ডেন্সে তিনি আদৌ কাজ পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিল। সেখান থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন ধনঞ্জয়, তাঁর বাবা ও কাকা জানিয়েছেন এমনটাই।
ধনঞ্জয় রবিবার থেকেই নিখোঁজ ছিলেন।এমনটাই জানা গিয়েছে মৃতের পরিবার সূত্রে।বেশ কিছুক্ষণ তাঁকে খুঁজে না পেয়ে ময়দান থানায় মিসিং ডায়রি দায়ের করা হয়। তার তদন্ত শুরু হওয়ার পরেই সোমবার ইডেনের গ্যালারি থেকে উদ্ধার হয় ধনঞ্জয়ের ঝুলন্ত দেহ। জানা গিয়েছে, আপার টিয়ারের কে ব্লক থেকে তাঁর দেহ পাওয়া গিয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ধনঞ্জয়কে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন এক ব্যক্তি। তার পরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে তাঁর দেহ। যদিও পুলিশের কাছে পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
আত্মহত্যা করেছেন চিনের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং, নেপথ্যে বড় কারণ
মহানগর ডেস্ক: আত্মহত্যা করেছেন চিনের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং। চিনের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী যিনি জুলাই মাসে তার পদ থেকে অপসারিত হয়েছিলেন তিনি আত্মহত্যা বা নির্যাতনের কারণে মারা গিয়েছেন বলেই সূত্রের খবর।
পলিটিকোর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে অ্যাক্সেস রয়েছে এমন দুই ব্যক্তি দাবি করেছেন যে কিন জুলাইয়ের শেষের দিকে বেইজিংয়ের একটি সামরিক হাসপাতালে মারা যান। ওই হাসপাতালে দেশের শীর্ষ নেতাদের চিকিৎসা করা হয়। এমনটাই জানা গিয়েছে। এর আগে, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল রিপোর্ট করেছিল যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত থাকাকালীন কিনের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তথ্যে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন, যে বিষয়টির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছিল তা হল কিনের আচরণ যা চিনের জাতীয় নিরাপত্তার সাথে আপস করেছে কিনা।
শীর্ষ চিনা কর্মকর্তাদের বলা হয়েছিল যে কমিউনিস্ট পার্টির একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তে দেখা গিয়েছে কিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিনের রাষ্ট্রদূত হিসাবে তার মেয়াদ জুড়ে এই বিষয়ে জড়িত ছিলেন। দুটি সূত্র সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে যে এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিনের একটি সন্তানের জন্ম হয়েছিল। জুলাই মাসে চাকরিতে অর্ধেক বছর দায়িত্ব থেকে রহস্যজনকভাবে এক মাসের অনুপস্থিতির পর প্রবীণ কূটনীতিক ওয়াং ইয়ের স্থলাভিষিক্ত হন কিন। তিনি ২০২১ সালের জুলাই থেকে এই বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়াশিংটনে চিনের শীর্ষ দূত ছিলেন।
মুম্বইয়ের নেভি হোস্টেলে আত্মহত্যা অগ্নিবীর প্রশিক্ষণার্থী মহিলার, নেপথ্যে কোন কারণ
মহানগর ডেস্ক: অগ্নিপথ প্রকল্পে মধ্যেই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হচ্ছে ‘অগ্নিবীর’দের। চার বছরের চুক্তিতে এই নিয়োগের ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। কিন্তু এই সবের মধ্যে চাঞ্চল্যকর খবর সামনে এসেছে। ভারতীয় নৌবাহিনীতে অগ্নিবীর প্রশিক্ষণরত এক ২০ বছরের এক মেয়ে মুম্বইয়ে নিজের হোস্টেলে আত্মহত্যা করেছেন বলেই মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে।
একজন পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, কেরালার বাসিন্দা মহিলা, মালাডের পশ্চিম শহরতলির মালওয়ানি এলাকায় ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ (আইএনএস) হামলায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। তিনি তাঁর প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষ করার পরে গত ১৫ দিন ধরে নৌবাহিনীর জাহাজে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। এর মধ্যেই কাটল ছন্দ। সোমবার সকালে তিনি তাঁর হোস্টেলের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে যে, ব্যক্তিগত কারণে মহিলাটি চরম পদক্ষেপ নিয়েছেন তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়নি।
পুলিশ একটি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর রিপোর্ট (ADR) নথিভুক্ত করেছে এবং আরও তদন্ত চলছে। অগ্নিবীররা হল সশস্ত্র বাহিনী দ্বারা নিয়োগকৃত সৈনিক অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে যা ২০২২ সালে চালু হয়েছিল। এই প্রকল্প নিয়ে কম চর্চা হয়নি। তবে যাই হক সেই সব কাটিয়ে নিয়োগ হচ্ছে এবং প্রশিক্ষণ শুরু হবে।