মহানগর ডেস্ক: সংঘটিত হয়েছে এবছরের শেষ সূর্যগ্রহণ। আর এই সূর্যগ্রহণ দেখতে অপেক্ষায় ছিলেন পৃথিবীর মানুষ। ভারতের বহু শহর থেকেই এই গ্রহণ দেখা গেছে। আবার কোথাও এই গ্রহণ স্থায়ী হবে প্রায় এক ঘণ্টার কাছাকাছি বলেও জানাচ্ছে নাসা। আর ৮ থেকে ৮০ এই সূর্যগ্রহণ দেখা নিয়ে উৎসাহে খামতি নেই। সূর্যের রশ্মির গতিপথে কেউ কেউ এক থালা স্বচ্ছ জল নিয়ে বসিয়ে রাখে। আবার কেউ কেউ এক্সট্রা প্লেট কিংবা সর্বশেষ এক্সপেরিমেন্টাল জিনিস বলতে সানগ্লাস। এসব নিয়েই সূর্যগ্রহণ দেখতে ছোটেন। কিন্তু এই সাধারণ রোদচশমা বা সানগ্লাস পরে সূর্যগ্রহণ দেখা কতটা স্বাস্থ্যকর? কি বলছে নাসা শুনে নিন।
প্রসঙ্গত, সূর্যগ্রহণের সময় তার থেকে বিচ্যুরিত রশ্মি একেবারে চোখের জন্য ভালো নয়। তাই গ্রহণ দেখার জন্য আলাদা ধরনের চশমা বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু বাকি সময়ে সেগুলি কাজে লাগে না বলে, অনেকেই সেটাকে বাড়তি খরচ বলে মনে করে। বদলে গ্রহণের সময়ে রোদচশমা দিয়ে কাজ সেরে ফেলেন। কিন্তু এটাই দেখিয়ানি চোখের স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি। এই বিষয়ে কী বলছে NASA?
রইল পাঁচটি জরুরি তথ্য।
কিভাবে গ্রহণ দেখা ক্ষতিকর-
১. NASA-র তরফে বলা হয়েছে একেবারে পূর্ণগ্রাস গ্রহণের সময়, অর্থাৎ সূর্য পুরোপুরি চাঁদের আড়ালে চলে যাওয়ার সময় ব্যতিরেক বাকি সময় (আংশিক সূর্যগ্রহণ) সূর্যের দিকে তাকানো মারাত্মক বিপজ্জনক। তবে পূর্ণগ্রহণের সময়েও সূর্যের দিকে তাকানো পুরোপুরি নিরাপদ নয়।
২. বায়নাকুলার টেলিস্কোপের ক্যামেরার লেন্স দিয়েও অনেকে সূর্যগ্রহণ দেখে থাকেন। কিন্তু সেগুলিও একেবারে নিরাপদ নয়। মারাত্মক বিপদ নিয়ে আসতে পারে চোখের ক্ষেত্রে।
৩। গ্রহণ দেখার জন্য যে চশমা বিক্রি হয়, সেগুলির সানগ্লাস এর মত দেখতে কিন্তু তার গঠন প্রকৃতি চোখের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই বানানো হয়। তাই শুধু সানগ্লাস দিয়ে সূর্যগ্রহণ দেখা মানেই নিজের চোখের বিপদ নিজেই ডেকে আনা।
কিভাবে গ্রহণ দেখা স্বাস্থ্যকর-
১. ক্যামেরা বা টেলিস্কোপের মধ্যে দিয়ে যাঁরা গ্রহণ দেখতে চাইবেন, তাঁরাও যেন গ্রহণ এর জন্য তৈরি উপযুক্ত চশমা পরে গ্রহণ দেখেন।
২. গ্রহণ দেখার চশমা বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি। এটি সাধারণ সানগ্লাসের চেয়ে বহু-বহু গুণ বেশি ঘন হয়। ফলে এটি চোখের ক্ষতি আটকাতে পারে।