মহানগর ডেস্ক: ভোল বদল সুপ্রিম কোর্টের! চোখে কালো পট্টি, এক হাতে দাড়িপাল্লা এবং আরেক হাতে তরোয়াল নিয়ে দাড়িয়ে থাকা ন্যায়ের মূর্তিটি সরিয়ে নতুন মূর্তি বসানো হল সুপ্রিম কোর্টের লাইব্রেরিতে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন ন্যায়ের মূর্তিটিতে কিছু বদল আনার, আর সেই নির্দেশই অক্ষরে অক্ষরে পালিত হল উচ্চ আদালতে। চন্দ্রচূড়ের দেখানো পথ ধরে স্থাপিত শ্বেতবর্ণের মুর্তিটির চোখ এখন খোলা। সেই সাথে এক হাতে দাঁড়িপাল্লা থাকলেও আরেক হাত তরোয়ালের বদলে ধরে রেখেছে সংবিধান।
মূর্তি বদলে কোন বার্তা দিলেন প্রধান বিচারপতি?
ইতিমধ্যেই বিচারপতিদের লাইব্রেরিতে বসানো হয়েছে ন্যায়ের নতুন মূর্তি। তবে এতদিনের প্রচলিত মূর্তি বদলে সুপ্রিম কোর্টে নতুন মূর্তি স্থাপনের কারণ খুঁজছিলেন প্রায় সকলেই। জানা গিয়েছে, মূলত নারী রূপে দাঁড়িয়ে থাকা ন্যায়ের মূর্তির চোখ ছিল কালো কাপড়ে বাঁধা। আর এই বিষয়টিই নজরে আনেন চন্দ্রচূড়। আইনের চোখে সকলেই সমান। প্রচলিত এই বাক্যটিকেই বাস্তবে পরিণত করতে শ্বেতবর্ণ মূর্তিটির চোখ থেকে খুলে ফেলা হয় কালো কাপড়। যার অর্থ আইন ধনী, দরিদ্র, প্রভাবশালী সকলের ক্ষেত্রেই সমান। অন্যদিকে হাতের তরোয়াল যা শাস্তির ইঙ্গিত বহন করে চলেছিল এবার তাকে সরিয়ে সংবিধানের গণ্ডি বেঁধে দিলেন বিচারপতি।
চোখ খোলার পরেও কী সঠিক বিচার পাবেন সকলে?
বিচার ব্যবস্থা প্রভাবিত হয়, প্রভাবশালীদের দ্বারা, যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই অভিযোগকে নস্যাৎ করতেই মূর্তির চোখ থেকে কালো কাপড় সরিয়ে ফেলা হল বলেই মনে করছেন অনেকে। যদিও ভবিষ্যতে বিচার কতটা নিখুঁত হবে তা নিয়ে খানিকটা সংশয় থেকেই যায়। তবে মূর্তির চোখ থেকে কাপড় সরিয়ে ফেলার কারণ যেমন জনগণের কাছে যুক্তিযুক্ত হয়েছে। ঠিক তেমনই তরোয়াল সরিয়ে সংবিধান রাখার প্রসঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি উঠে এসেছে। যেখানে বলা হয়েছে, তরোয়ালের মতো অস্ত্র হিংসার প্রতীক। পারস্পরিক সংঘর্ষে তরোয়ালের ব্যবহার যুক্তিযুক্ত। কাজেই আইনের চোখে হিংসার কোনও স্থান নেই। বরং সংবিধানের প্রতিটি অক্ষর অনুযায়ী বিচার শোনায় আদালত। তাই তরোয়ালের পরিবর্তে ন্যায়ের মূর্তিটির হতে সংবিধান অনেক বেশি উপযুক্ত বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্থানীয় মদই কল হল! বিষাক্ত সুরা পান করে বিহারে মৃত 20