মহানগর ডেস্ক : সত্যজিৎ রায়ের জন্ম দিনে, ২ মে, বৃহস্পতিবার, বহিস্কৃত তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বললেন, “আমি আজ আবার হীরক রাজার দেশে দেখব। এই সিনেমাটি ছোট বয়সে একরকম ভালো লাগত, বড় হলে এক রকম ভালো লাগে, বয়স বাড়লে অন্য রকম ভালো লাগে।”
এর পরই কুণাল গেয়ে ওঠেন, “কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়”, পাশাপাশি দেবকে নিশানা করে বলেন, “কেউ বলছেন মিঠুনদা আমার বাবার মতো, সুকান্ত মজুমদার ভালো মানুষ, তার পরেও আমায় বহিস্কারের চিঠি পেতে হয়? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বলছেন, মিঠুন চক্রবর্তী গদ্দার, তখন দেব বলছেন গদ্দার শব্দটি আমি সমর্থন করি না। তাহলে দলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কন্ট্রাডিক্ট করলে ডেরেক ও ব্রায়েনের মতো পিওন, দল তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমার বিরুদ্ধে নেবেন? আমার অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে? এটা নিয়ে এখন আর আমার কোনও অন্য ভাবনা নেই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদন আছে এই প্রেস রিলিজে।” প্রেস রিলিজ করেই কুইজ মাস্টার বা পিওন ডেরেক ও ব্রায়েন কুণালকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিস্কার করেছেন।
আমার মনে হয়েছে দলের অনেক আগে চাকরি হারাদের নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিপিএম খুনের চক্রান্তের সময় আমার গাড়িতে তুলে তাঁকে এসএসকেএম তারপর বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই। এখন কেউ যদি মনে করে মমতাদির সঙ্গে আমার এই সম্পর্কে বাধ সাধবেন, মমতাদু, অভিষেক যদি তা মেনে নেয় তাহলে নেবে। কুণাল ঘোষ একা চলতে জানে। আমার কাউকে ফোন করে কুণাল ঘোষ বলছি বললেই হয়, অন্য কিছু লাগে না। দলটা যাঁরা চালচ্ছেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যদি মনে করে আমায় দরকার নেই ভাবতে পারে। কুণাল ঘোষ একা চলতে জানে।”
এদিন কুণাল ফের আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, “মনতাদি, অভিষেক নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহকে সরাসরি আক্রমণ করে বক্তব্য রাখছেন, কই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তো তা করছেন না। শুভেন্দু অধিকারী আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, তবে তিনি বিরোধী দলনেতা হিসাবে যে ভাবে রাজ্যে বিজেপির হয়ে প্রচার করছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসাবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কি সেই কাজ করছেন? সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের কেন্দ্রে আটকে আছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসতে হয় তাঁর কেন্দ্রে, তাঁর হয়ে প্রচার করতে।”
এখন আরও অপেক্ষা করতে হবে শেষ পর্যন্ত কুণাল ঘোষের মতো বিচক্ষণ ব্যক্তি কি করেন তা দেখার জন্য।