মহানগর ডেস্ক: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত একেবারে চরমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে। সরাসরি যুদ্ধের মনোভাব নিয়েছেন উভয়ই। রাজ্যপাল তার মধ্যেই অভিযোগ তুলেছিলেন যে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন অন্তত পাঁচজন উপাচার্য।তিনি খোদ শিক্ষা দফতরের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন।রাজ্যপালের বলা কথা অনুযায়ী,প্রাণের হুমকি দেওয়ায় আতঙ্কে পদত্যাগ করেছেন তাঁরা।শুধু তাই নয়,তাঁদের উপর চাপ তৈরি করেছিলেন সরকারি অফিসার, মুখ্যমন্ত্রী আইএএস অফিসার।
রাজ্যপাল সেই সঙ্গেই বিবেকানন্দ, নেতাজি, রবীন্দ্রনাথের নামে শপথ করে একেবারে বাংলায় মুখ খুলেছিলেন।তিনি বলেছিলেন, “আমি শেষ পর্যন্ত এই লড়াই লড়ে যাব।”তবে শিক্ষা দফতরের বিরুদ্ধে রাজ্যপাল যে প্রথম অভিযোগ করলেন এমনটা নয়।শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নানা শব্দ উচ্চারণ করে এর আগে রাজ্যপালকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছিলেন।
রাজ্যপাল এবার সেই আক্রমণটাই কার্যত ফিরিয়ে দিলেন।তবে কারোর নাম উল্লেখ করেননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।কিন্তু রাজ্যপালের চিঠি তবুও তিন উপাচার্যের কাছে গিয়েছে।এই তিনজন উপাচার্য হলেন মৌলনা আবুল কালাম আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন প্রাক্তন উপাচার্য ও নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য চন্দন বসু।
এদিকে রাজ্যেপালের বক্তব্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেই চিঠিতে।উল্লেখ করা হয়েছে,শিক্ষা দফতর ও শিক্ষা দফতরের ভারপ্রাপ্ত আইএএসের হুমকিতে আতঙ্কিত হয়ে তারা পদত্যাগ করেছেন বলে।কিন্তু শিক্ষা দফতরের তরফে এটার সত্যতা কতটা রয়েছে তার ব্যাখা চাওয়া হয়েছে।